ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে খোয়া যাওয়া গয়না। —নিজস্ব চিত্র।
তাড়াহুড়োয় ব্যাগ প্লাটফর্মে ফেলেই উঠে গিয়েছিলেন ট্রেনে। দাবি, সেই ব্যাগ ছিল লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। শেষে রেল পুলিশের তৎপরতায় গয়নার সেই ব্যাগ ফিরে পেলেন এক ব্যক্তি।
পাঁশকুড়া আরপিএফ সূত্রের খবর, শুক্রবার হলদিয়া যাওয়ার জন্য পাঁশকুড়া স্টেশনে আসেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোবর্ধনপুরের বাসিন্দা মিলন ভৌমিক এবং তাঁর পরিবার। মিলনবাবু হলদিয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি পিংলার বাড়িতে এসেছিলেন। সেখান থেকেই হলদিয়া ফিরছিলেন।
জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে চারটি ব্যাগ নিয়ে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন মিলন। বিকেল ৩টে ২০তে ট্রেন এলে তাঁরা তিনটি ব্যাগ নিয়ে তাতে উঠে পড়েন। কিন্তু একটি ব্যাগ প্ল্যাটফর্মেই থেকে যায় বলে অভিযোগ। মিলনদের দাবি, ওই ব্যাগে জামা কাপড়ের সাথে ছিল প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার গয়না। বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ দুর্গাচক টাউন স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার সময় মিলনদের অন্য ব্যাগটির কথা মনে পড়ে। তিনি দ্রুত পাঁশকুড়ার এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ওই আত্মীয় পাঁশকুড়ায় আরপিএফের যোগাযোগ করেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ পাঁশকুড়া স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে টহল দেওয়ার সময় ব্যাগটি নজরে আসে এক আরপিএফ জওয়ানের। তিনি ব্যাগটি নিয়ে আসেন আরপিএফ অফিসে। শনিবার সকালে মিলনবাবুর ওই আত্মীয় ফের আরপিএফ অফিসে যোগাযোগ করেন। আরপিএফ-রের আধিকারিকেরা ফোনে মিলনবাবুর স্ত্রীর সাথে কথা বলে ব্যাগের মধ্যে থাকা জিনিসগুলি মিলিয়ে নিশ্চিন্ত হন। এ দিকে, সকাল ১০ টা নাগাদ পাঁশকুড়া আরপিএফ অফিসে পৌঁছন সস্ত্রীক মিলনবাবু। তার পরেই তাঁদের হাতে ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
গয়ানা ফিরে পেয়ে মিলনবাবুর স্ত্রী হৈমন্তী ভুঁইয়া বলেন, ‘‘আমরা ব্যাগটা ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। যেভাবে রেল পুলিশ আমাদের এত টাকার গয়ানা পিরয়ে দিয়েছে, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।’’ গয়ানা ফিরে পেয়ে সমস্ত আরপিএফ জওয়ানদের মিষ্টি মুখ করাতে ভোলেননি মিলনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy