তহবিল তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরিয়েছে, তাই ‘পলাতক’ পঞ্চায়েত প্রধান। নন্দীগ্রামের সামসাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতে তাই উপ-প্রধানের হাতে তুলে দেওয়া হল দায়িত্ব।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পুকুর খননের কাজে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান অতনু জানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল প্রশাসন। গ্রেফতারি এড়াতে দীর্ঘ প্রায় একমাস তিনি পঞ্চায়েতে আসছিলেন না। সেই কারণ দেখিয়েই সামসাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হল উপ-প্রধানকে সবিতা মণ্ডলকে। এ বিষয়ে সোমবার নন্দীগ্রাম ১ বিডিও চিঠি দিয়ে নির্দেশ পাঠিয়েছেন সবিতাদেবীকে।
বিডিও অমর্ত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সামসাবাদের প্রধান অতনু জানা অনুমতি ছাড়াই প্রায় একমাস পঞ্চায়েতে অনুপস্থিত। পঞ্চায়েত আইন মেনেই তাই উপ-প্রধানকে দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতনুবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে উত্তাল রাজনীতি। অতনুবাবুকে দলীয় কর্মী বলে মানতে নারাজ তৃণমূল। জানা গিয়েছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ হিসেবে নির্দল হয়ে ভোটে জিতেছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু ব্লক নেতৃত্বের দাবি দলবিরোধী কাজের অভিযোগে আগেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘অতনু জানা-সহ কয়েকজন নির্দল আমাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দলবিরোধী ও পঞ্চায়েতের কাজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে অতনু জানাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অতনুবাবুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের মামলা চলায় তিনি আত্মগোপন করে আছেন।’’
ওই পঞ্চায়েত এলাকায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পুকুর খননের কাজে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। তদন্তের পর প্রশাসনিক নির্দেশে গত ৬ এপ্রিল প্রধান অতনু জানা ও নির্মাণ সহায়ক, নির্বাহী সহায়কের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই অনুপস্থিত অতনু জানা। জানা গিয়েছে অতনুবাবু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে ওই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। এ দিকে মঙ্গলবার অতনু জানার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার হলে পরিবারের তরফে বলা হয়, ‘‘অতনুবাবু বাড়িতে নেই।’’
নাবালিকা উদ্ধার। দিঘার হোটেলে থেকে উদ্ধার হল এক নাবালিকা। সোমবার রাতে ওই হোটেল থেকে বকুল ধাঁদা নামে এক যুবককেও গ্রেফতার করে খেজুরি থানার পুলিশ। অভিযোগ খেজুরির বেগুনাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বকুল তার প্রতিবেশী ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে রবিবার। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশ দিঘার হোটেলের সন্ধান পায়। মঙ্গলবার বকুল ধাঁদাকে কাঁথি আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।