ক্ষোভের কথা জানিয়ে ঝোলানো হয়েছে পোস্টারও। —নিজস্ব চিত্র।
পড়ুয়ার সংখ্যা ১১। টিচার ইন চার্জকে নিয়ে শিক্ষকের সংখ্যা দুই। তাঁরাও নিয়মিত স্কুলে আসেন না। এমনকী বেলা ১২টা, সাড়ে ১২টার মধ্যে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে চলে যান বাড়ি। বুধবার অবশ্য স্কুলে এসে অপেক্ষা করে করে বাড়ি ফিরে গিয়েছে পড়ুয়ারা। সারাদিন খোলাই হয়নি বেলপাহাড়ির হাড়দা পঞ্চায়েতের কড়াসাই জুনিয়র হাইস্কুল।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখিয়ে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, টিচার-ইন-চার্জ প্রসূন ঘোষ ও শিক্ষিকার সংহিতা বেরা কখনও ঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না। সপ্তাহে চারদিন স্কুল খোলা থাকে। তাও পড়াশোনা ঠিকমতো হয় না। অভিযুক্ত টিচার ইন চার্জ প্রসূন ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘পড়ানো, স্কুল খোলা, খাতা গোছানো— সব কাজই আমাকে করতে হয়। আর কেউ নেই। সংহিতাদেবী মাসে মাত্র চার-পাঁচদিন স্কুলে আসেন। বুধবার আমি স্কুলের কাজেই ব্যস্ত ছিলাম। উনি আসেননি। তাই স্কুলের তালাও খোলা হয়নি। আমি মুচলেকা দিতে প্রস্তুত।’’ সংহিতাদেবীর কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।
২০১২ সালে ৪৫ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে শুরু হয়েছিল স্কুল। কিন্তু এখন সে সংখ্যা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে এগারোয়। অভিযোগ, গত চার-পাঁচ মাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কুমারেশ সরকার, দেবীদাস সরকারেরা জানান, প্রায় পাঁচ মাস কোনও রকমে রান্না করে দিচ্ছেন তাঁরা শুধু শিশুগুলির কথা ভেবে। বিডিও-কে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
বেলপাহাড়ির বিডিও সন্তু তরফদার বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তালা লাগানোর কথাও শুনেছি। তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’’ স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘‘অভিযোগ অনেকদিনের। অনির্দিষ্ট কালের জন্য তালা লাগিয়ে দিয়েছেন অভিভাবকরা। সমাধানের জন্য শিক্ষকদের মুচলেকা দিতে বলেছিলাম কিন্তু একজন রাজী হননি। বিষয়টি সমাধানে তৎপর হব।’’ অভিভাবকরা অবশ্য তাঁদের অবস্থানে অ়নড়, স্থায়ী সমাধান না-হলে তাঁরা স্কুল শুরু করতে দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy