রোপণ। চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় শ্রী পদ্ধতিতে ধানচাষ। নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষামূলক ভাবে শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু হল গড়বেতা-৩ (চন্দ্রকোনা রোড) ব্লকের দু’টি এলাকায়। আপাতত এখানকার প্রায় এক বিঘা জমিতে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করেছেন দু’টি স্বসহায়ক দলের মহিলারা। পরে ব্লকের অন্যত্রও এই পদ্ধতিতে চাষ হবে। শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ অবশ্য নতুন নয়। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই পদ্ধতিতে চাষে সাফল্য মিলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “শ্রী পদ্ধতির চাষে কৃষকদের উত্সাহিত করতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, গড়বেতা-৩ ব্লকের বড়জাম এবং ছোটডাবচা এলাকার প্রায় এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এখানে ধানের চারা রোপণ করা হয়। দু’টি স্ব-সহায়ক দলের প্রায় কুড়িজন মহিলা সদস্য এই চাষে যুক্ত রয়েছেন। ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় শ্রী পদ্ধতিতে ধান ও সব্জি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকেরা। স্বনির্ভর দলের মহিলাদের দিয়েও শ্রী পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে।
শ্রী পদ্ধতির চাষে সব থেকে বড় সুবিধা হল, কম জলে ফলন বেশি হয়। জেলার এক কৃষিকর্তা জানালেন, দেখা গিয়েছে, আগে যেখানে বিঘে প্রতি সাত কুইন্ট্যাল ধানের ফলন হত, শ্রী পদ্ধতিতে চাষ করে সেখানে বিঘে প্রতি সাড়ে দশ কুইন্ট্যাল ফলন হয়েছে। জেলার ওই কৃষিকর্তার কথায়, “জঙ্গলমহলের এক এলাকায় বছর কয়েক আগে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষক শ্রী পদ্ধতিতে ধান ও সব্জি চাষ শুরু করেছিলেন। এখন সেই সংখ্যাটা তিনশো ছাড়িয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই পদ্ধতির চাষ নিয়ে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। সেখানে কৃষকদের বিভিন্ন সুবিধের দিকগুলোর কথা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় স্বসহায়ক দলের সদস্যদেরও এ নিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। জেলার এক কৃষিকর্তার কথায়, “শ্রী পদ্ধতির চাষ নিয়ে বিভিন্ন এলাকার স্বসহায়ক দলের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষি সহায়ক হিসেবে চাষিদের উত্সাহিত করছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন। সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দিচ্ছেন।’’ জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষও বলছেন, “এই চাষে কম খরচে বেশি ফলন হয়। তাই কৃষকেরাও এখন উত্সাহিত হচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy