ফাইজান আহমেদ। নিজস্ব চিত্র।
দু’দিন ধরে ফোন বন্ধ। শরীর, মুখ ফুলে গিয়েছে। আত্মহত্যা করেননি তাঁদের ছেলে। তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। খড়্গপুর আইআইটির পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলল পরিবার। ছেলে কেন হস্টেলে নিজের আস্তানা বদলেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন মৃত ফাইজান আহমেদের বাবা, মা।
শুক্রবার হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় অসমের বাসিন্দা ফাইজানের দেহ। শনিবার বিকেলে পড়শি রাজ্যের তিনসুকিয়া থেকে মৃতের পরিবারের লোকজন আসেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফাইজানের বাবা সেলিম আহমেদ এবং মা রেহানা আহমেদ। সেলিম জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ শেষ বার মাসি সালমার আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন ফাইজান। তার পর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, তাঁর ছেলে কোনও ভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না। মর্গের সামনে দেহ দেখার পরেই সেলিম বেরিয়ে এসে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘‘আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ চুপ করে বসে আছে। বুধবার থেকে মোবাইল বন্ধ রয়েছে। শরীর, মুখ ফুলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন, ঘটনার যাতে সঠিক তদন্ত হয়।’’
পরিবারের বক্তব্য, ফাইজান থাকতেন রাজেন্দ্র প্রসাদ হলে। কবে এবং কেন তাঁকে এলএলআর হলে গিয়ে থাকা শুরু করতে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে পরিবার।
খড়্গপুর আইআইটি রেজিস্ট্রার তমাল নাথ বলেন, ‘‘দরজা বন্ধ থাকার কথা জানতে পেরেই পুলিশকে জানানো হয়। প্রথম থেকেই পুলিশ তদন্ত করছে। সঠিক ভাবেই তদন্ত হবে বলে বিশ্বাস। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করানোর ব্যবস্থা করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। ছেলেটি ডিপ্রেশনের ছিল বলে জানা গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy