Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে বোর্ডের বানানে ভুল, বিভ্রান্তি

ভবনের আনাচে-কানাচে ফের নজরে পড়ছে আবর্জনা। যদিও বোর্ড এখনও রয়েই গিয়েছে, আর ওই বোর্ডের ভুল বানান বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে রোগী ও তাঁর পরিজনেদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০০
কোথাও ক্লিনিক বানানে ‘সি’ উধাও কোথাও আবার জুড়েছে অতিরিক্ত একটি ‘আই’। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

কোথাও ক্লিনিক বানানে ‘সি’ উধাও কোথাও আবার জুড়েছে অতিরিক্ত একটি ‘আই’। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

কোথাও ‘ক্লিনিক’ বানানের ‘সি’ অক্ষরটাই নেই! কোথাও আবার ওই একই বানানে একটি অতিরিক্ত ‘আই’ যোগ হয়েছে!

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পরিদর্শনে আসায় তড়িঘড়ি বিভিন্ন বিভাগের সামনে লাগানো হয়েছিল বোর্ড। সেজে উঠেছিল হাসপাতাল ভবনও। পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা চলে যাওয়ার পর সে সব সাজ উধাও! ভবনের আনাচে-কানাচে ফের নজরে পড়ছে আবর্জনা। যদিও বোর্ড এখনও রয়েই গিয়েছে, আর ওই বোর্ডের ভুল বানান বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে রোগী ও তাঁর পরিজনেদের।

খড়্গপুর মহকুমার দশটি ব্লকের মানুষ চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। হাসপাতালের এক কর্মীর কথায়, ‘‘বিভিন্ন বিভাগের সামনে বোর্ড লাগানো হয়েছে ভাল কথা। কিন্তু ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় বিভাগের নাম লেখা বোর্ডও লাগানো উচিত ছিল। তা না করে শুধু ইংরেজি নামের বোর্ড লাগানোয় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন। তার উপর ইংরেজি নাম লেখা বোর্ডেও বানান ভুল থাকায় বিভ্রান্তি বাড়ছে।’’

কেশিয়াড়ি থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন মানসীদেবী। ফিজিওথেরাপি বিভাগের সামনে ঘুরে বেড়ালেও তিনি ওই বিভাগটি চিনতে পারছিলেন না। কারণ, ফিজিওথেরাপি বিভাগের় সামনে বাংলার বিভাগের নাম লেখা কোনও বোর্ড নেই। শুধু রয়েছে ইংরেজি বোর্ড। মানসীদেবী ইংরেজি পড়তে না পারায় বিভাগ চিনতে পারছিলেন না। মানসীদেবী বলছিলেন, “আমি বাংলা পড়তে পারলেও ইংরেজি পড়তে পারি না। তাই অনেককে জিজ্ঞাসা করে ফিজিওথেরাপি বিভাগের সামনে যাই। কিন্তু সেখানেও ইংরেজিতে লেখা থাকায় বুঝতে না পেরে সমস্যায় পড়েছিলাম। পরে একজনের সাহায্যে ফিজিওথেরাপি বিভাগে পৌঁছই।’’

এই সমস্যার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের। সংগঠনের হাসপাতাল ইউনিটের উপদেষ্টা দিলীপ সরখেল বলেন, “বেশ কয়েকটি বোর্ডের ইংরেজি বানান ভুল। আবার সব বোর্ডগুলিতে বিভাগের নাম ইংরেজি লেখা থাকায় অনেক মানুষের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জানিয়েছি।” তবে এ নিয়ে হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “হয়তো দু’-একটি বোর্ডে বানান ভুল থাকতে পারে। বিষয়টি দেখব।”

Hospital হাসপাতাল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy