Advertisement
E-Paper

সবংয়ে ঝড়বৃষ্টি, ভাঙল বাড়ি-গাছ

বুধবার দুপুরে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে বিকেল পর্যন্ত। মূলত তেমাথানি, উচিতপুর, বসন্তপুর, বাড়জীবন প্রভৃতি এলাকায় ঝড়বৃষ্টির প্রভাব পড়ে। জেলার বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা বলছেন, “গাছ পড়ে কিছু বিদ্যুতের খুঁটি হেলে যায়। কিছু খুঁটিতে গাছের ডালপালা জড়িয়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ০১:১৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বুধবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। দুপুরের পর থেকেই ঝড়, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। ঝড়ে সবংয়ে অনেক কাঁচাবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝড়়ে অনেক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। গাছ গাছ উপড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং চলে। খড়্গপুর মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা মানছেন, “ঝড়বৃষ্টিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির হিসেব করা চলছে। ব্লক থেকে রিপোর্ট আসবে। তারপরই ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে।” ওই কর্তার স্বীকারোক্তি, “বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জেনেছি। এরমধ্যে কিছু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

বুধবার দুপুরে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে বিকেল পর্যন্ত। মূলত তেমাথানি, উচিতপুর, বসন্তপুর, বাড়জীবন প্রভৃতি এলাকায় ঝড়বৃষ্টির প্রভাব পড়ে। জেলার বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা বলছেন, “গাছ পড়ে কিছু বিদ্যুতের খুঁটি হেলে যায়। কিছু খুঁটিতে গাছের ডালপালা জড়িয়ে যায়। তার ছিঁড়ে যায়। তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই তার মেরামতের কাজ শুরু হয়।” তাঁর কথায়, “ঝড়বৃষ্টি হলে কিছু করার থাকে না। বিশেষ করে যদি বজ্রপাত-সহ ঝড়বৃষ্টি হয়। বজ্রপাত হলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট হবেই। এ দিন সবংয়ের কিছু এলাকায় তেমনই হয়েছে।”

বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। জলপ্রকল্পগুলো অচল হয়ে পড়ে। এ দিন বিকেলেই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পরিস্থিতির কথা জানান সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার আর্জি জানান তিনি। মানসবাবু বলেন, “বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়েছি।”

তাঁর কথায়, “এ দিনের ঝড়বৃষ্টিতে সবংয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর কাঁচা বাড়ি পড়ে গিয়েছে। গাছপালাও ভেঙে পড়েছে। একের পর এক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। সবংয়ে ত্রিপল পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছি।” সবংয়ের বিভিন্ন এলাকায় দোকানঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দিনের ঝড়বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে পাশ্ববর্তী পিংলাতেও। পিংলার ধনেশ্বরপুর, করকাই প্রভৃতি এলাকায় কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “নজর রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Storm Sabang সবং
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy