আম উৎসবে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
আম্রপালি থেকে তোতাপুরী, বেগমফুলি থেকে নীলাম্বরী— সঙ্গে আছে হিমসাগর, ল্যাংড়াও!
প্লেটে সাজানো বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফালি। কোনও ক্লাব বা সংগঠনের উদ্যোগে নয়, এ বার স্কুলেই আমের ‘খাজানা’।
মেদিনীপুর গ্রামীণের পলাশী প্রাথমিক স্কুলে মঙ্গলবার আয়োজন হয় এমনই আম উৎসবের। স্কুলের শিক্ষকেরা নিজেদের উদ্যোগেই বাজার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম কিনে এনেছিলেন। বইয়ের পাতায় হরেক রকম আমের কথা পড়ে পড়ুয়ারা। চোখের সামনে হরেক রকমের আম দেখে খুশি তারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌম্যসুন্দর মহাপাত্রের কথায়, “অনেক রকম প্রজাতির আম রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সব প্রজাতির আম চেনে না। চেনা সম্ভবও নয়। বিভিন্ন ধরনের আমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।” তাঁর কথায়, “ছাত্রছাত্রীরা শুধু বিভিন্ন প্রজাতির আম চেনেনি, স্বাদগ্রহণও করেছে। সেই ব্যবস্থাও ছিল।”
ঠিক কী কী আম আনা হয়েছিল? ছিল হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, তোতোপুরী, বেগমফুলি, নীলাম্বরী প্রভৃতি প্রজাতির আম। স্কুলের এক ঘরের মধ্যে প্লেটে এই সব আমেরই ফালি সাজানো হয়। স্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের চেনানোর জন্য বিভিন্ন রকমের আম প্রদর্শিত হয়েছে। বিভিন্ন রকমের আমকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পরিচিত করে তুলতেই তো এই উদ্যোগ। যে সব প্রজাতির আম ছিল, সেই সব প্রজাতির আম সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয়। আম থেকে যে আমসত্ত্ব, বিভিন্ন রকমের আচার তৈরি হয় তাও জানানো হয়।” তাঁর কথায়, “কত প্রজাতির আম রয়েছে তার সঠিক কোনও হিসেব নেই। এত প্রজাতির সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় আম দেখে ছাত্রছাত্রীরা খুশি হয়েছে।”
প্রাথমিক স্কুলে এমন উত্সব বিশেষ দেখা যায় না। স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলের আম উত্সবে মজেছিল পড়ুয়ারাও।
স্কুলের ছাত্রী সুদেষ্ণা ভুঁইয়ার কথায়, “অনেক রকম আম দেখেছি। চিনেছি। খেয়েছি। খুব ভাল লেগেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy