বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাস দেড়েক আগে দেগঙ্গা থেকে কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েছিল এক যুবক। রবিবার ওই কিশোরী নিজেই বাড়ি ফিরে এল।
পুলিশ জানিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর থানায় অভিযোগ হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মহিষাদলের কাপাসবেড়িয়া এলাকার মেয়েটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই তদন্ত শুরু হয়।
দেগঙ্গা থানার পুলিশের একটি দল শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে বেশ কিছু হোটেল ও লজে অভিযান চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের ওই পুলিশি অভিযানের পর কিশোরীকে যে হোটেলে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে রাতেই বারাসত গামী বাসে তুলে দেয় হোটেলের লোকজন। এর পর সে নিজেই বাড়ি ফিরে আসে।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বারাসত মহিলা থানার আইসিকে ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। ওই চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।’’ তবে যে যুবক মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়েছিল তার সম্পর্কে কোনও তথ্যই বলতে পারছে না ওই কিশোরী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা পেশায় কৃষক। পারিবারিক আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও মেয়েকে না পেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে থানায় অভিযোগ করেনি কিশোরীর পরিবার। অবশেষে ৭ ডিসেম্বর থানায় নিখোঁজ অভিযোগ হয়।
বছর চোদ্দোর ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ওই যুবকের সঙ্গে তার আলাপ হয়। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরেই ওই যুবক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে নিয়ে পালায় ওই যুবক। মহিষাদলের ওই হোটেলে তাকে দেহ ব্যবসাতেও নামানো হয়েছিল বলে কিশোরীর অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy