আহত কিশোরী সন্ধ্যারানি মাহাতো। —নিজস্ব চিত্র।
আধাসামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের সময় স্প্লিন্টার ছিটকে এসে আহত হল এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়্গপুর গ্রামীণের সালুয়ায় ওই ঘটনায় আহত কিশোরীর অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও একই ভাবে আহত হয়েছেন অনেকে। তবে পুলিশকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। পুলিশের দাবি, অসাবধানতাবশত আহত হয়েছে ওই কিশোরী।
পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত টাঙাশোল এলাকায় ‘ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলস’ (ইএফআর)-এর শিবিরে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র জওয়ানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ চলাকালীন স্প্লিন্টার ছিটকে এসে লাগে ১৫ বছরের সন্ধ্যারানি মাহাতোর ডান কাঁধে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
কিশোরীর মা ইন্দুরানি মাহাতো বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ জল আনতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল আমার বড় মেয়ে। হঠাৎই মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই। ছুটে গিয়ে দেখি, মেয়ের কাঁধের কাছে রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে খড়্গপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
সন্ধ্যারানির বাবা স্বপন মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘এর আগেও ওই ক্যাম্প থেকে ছোড়া গুলিতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের আধিকারিকদের জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এক বার ট্রেনিংয়ের সময় ছোড়া গুলিতে আমার জেঠুর লেগেছিল। আমার দু’টি গরুও গুলি লেগে মরে গিয়েছে। পুলিশে রিপোর্ট করেও কাজ হয়নি। ক্যাম্পের চারপাশে দেওয়াল রয়েছে, তা টপকে গুলি বাইরে বেরিয়ে আসে। যেখানে ট্রেনিং হয়, সেখান থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে ঘটনাটি ঘটেছে।’’
দুর্ঘটনার পরেও ইএফআর শিবির কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে খবর পেয়ে খ়ড়্গপুর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘সালুয়া ফায়ারিং গ্রাউন্ডে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের প্রশিক্ষণরত পুলিশকর্মীদের বন্দুক চালানোর ট্রেনিং চলছিল। সে সময় স্প্লিন্টার ছিটকে যায়। অসাবধানতাবশত সন্ধ্যারানি মাহাতো নামে এক কিশোরীর ডান কাঁধে লাগে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy