Advertisement
E-Paper

দাবি মেটাতে শিক্ষকদের তালা বন্ধ করে হেনস্থার অভিযোগ

শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামের লালগড় ব্লকের বৈতা শ্রীগোপাল উচ্চবিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। ঘণ্টা তিনেক পরে প্রধান শিক্ষক গ্রামবাসীদের দাবিগুলি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানানোর আশ্বাস দিলে শিক্ষক-শিক্ষিকরা মুক্ত হন। এর জেরে এদিন স্কুলের পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৩০
স্কুলের সামনে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর। নিজস্ব চিত্র

স্কুলের সামনে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর। নিজস্ব চিত্র

স্কুলের উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই প্রধান শিক্ষক-সহ সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পরে প্রধান শিক্ষক সহ কয়েকজনকে অফিস রুমে ঢুকিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামের লালগড় ব্লকের বৈতা শ্রীগোপাল উচ্চবিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। ঘণ্টা তিনেক পরে প্রধান শিক্ষক গ্রামবাসীদের দাবিগুলি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানানোর আশ্বাস দিলে শিক্ষক-শিক্ষিকরা মুক্ত হন। এর জেরে এদিন স্কুলের পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুল শুরুর আগে সাড়ে ১০টা নাগাদ স্কুলের সামনে জড়ো হন কিছু গ্রামবাসী। ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে ঢুকে গেলেও প্রধান শিক্ষক নীলাদ্রিশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ১৭ জন সহশিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণের জন্য টাকা এলেও তা ফেরত চলে গিয়েছে। অথচ, স্কুল কর্তৃপক্ষের তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোন শৌচাগার নেই, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হলেও কোনও ল্যাবরেটরি নেই। স্কুলে লাইব্রেরি থাকলেও সেখান থেকে বই পায় না ছাত্রছাত্রীরা। মিড ডে মিলের খাওয়ার কোনও ছাউনি না থাকায় মাঠে বসে খোলা আকাশের নীচে খেতে হয় পড়ুয়াদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিকে এই বিদ্যালয়ে কলা বিভাগ চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্য তা চালু হয়নি।

বিক্ষোভের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক-সহ কয়েকজন শিক্ষককে অফিস ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও এ সব সমস্যার সমাধান হয়নি। এবার সমাধান না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে। ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভের পর প্রধান শিক্ষক গ্রামবাসীদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিলে বেলা দেড়টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে নীলাদ্রিবাবুর বক্তব্য, ‘‘স্কুলে কিছু সমস্যা রয়েছে এটা ঠিক। তা সমাধানেরও চেষ্টা চলছে। বিদ্যালয়ের প্রাচীর ও ল্যাবরেটরি নির্মাণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় আবেদন করেছি।’’ তবে তাঁর অভিযোগ, এ দিন বিক্ষোভের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। তিনি জানান, দুর্গাপুজার জন্য অতিরিক্ত চাঁদা চেয়েছিল গ্রামের পুজো কমিটি। তাঁরা সাধ্যমতো চাঁদা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুজো কমিটি নেয়নি। সে জন্যই এ সব করা হচ্ছে।

Education Jhargram Agitation ঝাড়গ্রাম
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy