Advertisement
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Miscreants

‘তোলাবাজ’দের হাত থেকে নিষ্কৃতির আশা

‘ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক প্রদীপ কয়েকমাস আগে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন জেলার ট্রাক মালিকদের কী ভাবে ‘তোলাবাজি’র মুখে পড়তে হয়।

A Photograph of a coupon

এমন কুপন ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৪৯
Share: Save:

তোলাবাজির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাক মালিকদের।

‘পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে কয়েকমাস আগে জেলা প্রশাসনের কাছে এমনই অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিছুদিন আগে ডেবরায় এক সভায় রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কাছেও একই নালিশ জানিয়েছেন সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ মণ্ডল। প্রশাসন ও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের পর জেলার ট্রাক মালিকদের এই সংগঠন আশা করছে এ বার হিমঘর খুললে আলু খালাসের মতো কাজের সময় অন্তত ‘তোলাবাজ’দের হাত থেকে নিষ্কৃতি মিলবে।

জেলার ট্রাক মালিকদের অন্যতম সংগঠন ‘ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক প্রদীপ কয়েকমাস আগে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন জেলার ট্রাক মালিকদের কী ভাবে ‘তোলাবাজি’র মুখে পড়তে হয়। তিনি লেখেন, 'গড়বেতা, চন্দ্রকোনা রোড, গোয়ালতোড়, শালবনি, কেশপুর, আনন্দপুর প্রভৃতি থানার অন্তর্গত হিমঘরগুলিতে আলু খালাস করতে ট্রাক পাঠালে কিছু দুষ্কৃতী ১০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করছে। ট্রাকের চালক না দিলে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলতে দিচ্ছে না’।

কয়েকদিন আগে ডেবরায় ট্রাক মালিকদের এক সভায় রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিসকেও একই নালিশ জানিয়েছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক। প্রদীপ বলছেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের পর পরিবহণ মন্ত্রীকেও জানিয়েছিলাম এই সমস্যার কথা। বলেছিলাম কিছু দুষ্কৃতী অবৈধভাবে কুপন ছাপিয়ে এখানে তোলাবাজি করে। টাকা না দিলে ট্রাকে আলু তুলতে দেয় না।’’

কারা করে এসব?

ট্রাক মালিকদের সংগঠনের নেতারা বলছেন, বিভিন্ন সংগঠনের নাম করে নানা রঙের কুপণ ছাপিয়ে ডোনেশনের নামে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে এই টাকা দাবি করা হয়। প্রায় প্রতিবার যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। কার্যত জোর করেই এ ভাবে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ।

সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘‘ডেবরায় পরিবহণ মন্ত্রীকে বলার পর ট্রাক মালিকদের উপর জুলুমবাজি বন্ধ করার চেষ্টা করবেন বলে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। আশা করব, আর কয়েকদিনের মধ্যে হিমঘর খুললে লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজে যুক্ত ট্রাক মালিকদের আর এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে না।’’

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টা এই প্রথম শুনলাম। আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানাব বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য। যদি ওঁরা বিভাগীয় মন্ত্রীকে বলে থাকেন, উনিও নিশ্চয়ই দেখবেন।’’

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ধরনের অভিযোগ থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE