প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই বাস দুর্ভোগ শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। বিকেলের পরে বিভিন্ন রুটে বাস ছিল না। আজ, শনিবার ওই দুর্ভোগ আরও চরমে উঠবে। খোদ শাসক দলই জানাচ্ছে, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, জেলার কর্মীরা পাশের জেলা ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলির পাশাপাশি বর্ধমানের বাসও ভাড়ায় নিয়েছেন!
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির স্বীকারোক্তি, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখেছি, জেলা থেকে প্রায় ১,১০০- ১,২০০ বাস ব্রিগেড সমাবেশে যাবে। জেলায় এত বাস নেই। তাই পাশের জেলাগুলো থেকেও বাস ভাড়া করতে হয়েছে।’’ শনিবার তাহলে প্রচুর মানুষ দুর্ভোগে পড়বেন? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু বলেন, ‘‘সমস্যা হবেই। আমরা আগাম মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বাস মালিক- কর্মীদের কাছেও আমরা ক্ষমাপ্রার্থী!’’ জেলা তৃণমূলের দাবি, জেলা থেকে কলকাতার সমাবেশে প্রায় ৩ হাজার গাড়ি যাবে। বাস বাদে ভাড়া করা গাড়ির মধ্যে রয়েছে লরি, ট্রেকার প্রভৃতিও। জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতিও মানছেন, ‘‘শনিবার রুটে খুব কম বাস থাকবে।’’
এ দিন জেলা জুড়ে চোখে পড়েছে ভোগান্তির ছবি। গোয়ালতোড়ের আমলাশুলির অরুণ মাহাতো স্ত্রী রিনাকে বাঁকুড়ায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাস না পেয়ে মাঝপথ থেকেই ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘এদিন থেকেই যে বাস থাকবে না জানতাম না। হয়রানির শিকার হতে হল।’’ চন্দ্রকোনা রোড ও গড়বেতা বাসস্ট্যান্ড এ দিন কার্যত সুনসানই ছিল। চন্দ্রকোনা রোড বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বরুণ চৈরা বলেন, ‘‘চন্দ্রকোনা রোড থেকে ২৮ টি বাস সমাবেশের জন্য নেওয়া হয়েছে। জোর করে কোনও বাস নেওয়া হয়নি। যাত্রীদের কিছুটা হয়রানি হচ্ছে।’’ গড়বেতা থেকে ৪০ টির মতো বাস সমাবেশের জন্য নেওয়া হয়েছে।
ঘাটাল কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে এ দিন বেশিরভাগ বাসই রাস্তায় নামেনি। যার জেরে স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেও বাস পাননি হাজার হাজার যাত্রী। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাতেও বাস মিলছে না। তাই বাধ্য হয়ে ট্রেকার-অটোতে চড়ে অনেককেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। একই ছবি দাসপুর,চন্দ্রকোনা,ক্ষীরপাই সহ অনান্য স্ট্যান্ড গুলিরও।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম শহর, গ্রামীণ, জামবনি, বিনপুর, বেলপাহাড়ি থেকে বেশির ভাগ লোকজন ট্রেনে কলকাতা যাবেন। তবে সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর, বেলিয়াবেড়া, নয়াগ্রাম এলাকার কর্মী সমর্থকরা বাসে যাবেন। ঝাড়গ্রাম জেলার কর্মীদের জন্য নেওয়া হয়েছে তিনশো বাস। জেলায় এত বাস চলে না। সেজন্য, পড়শি ওড়িশা রাজ্যের যে সব বাস ঝাড়গ্রাম জেলা ছুঁয়ে যাতায়াত করে সেগুলিকেও নেওয়া হয়েছে। এমনকি ওড়িশা রুটেরও কিছু বাস নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy