—প্রতীকী ছবি
বছরের প্রথম সন্ধ্যায় খুনের পর তিনদিন কেটে গেলেও, ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারও হয়নি। রেলশহরে খুনের পিছনে রাজনীতি না ব্যক্তিগত শত্রুতা তা নিয়ে চর্চা চলেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে রাজনীতি নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই খুন বলে কার্যত নিশ্চিত পুলিশ।
খড়্গপুরের টাউন পুলিশ এখন তৃণমূল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুষ্কৃতী অর্জুন সোনকার খুনের মামলার জাল দ্রুত গোটাতে চাইছে। গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে মথুরাকাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয় খরিদার গুরুদ্বারের বাসিন্দা বছর ঊনত্রিশের অর্জুন। সাট্টা, গুলি, মারধর-সহ বহু বেআইনি ঘটনায় অভিযুক্ত অর্জুন এলাকায় দুষ্কৃতী হিসাবে পরিচিত ছিল। তবে অর্জুনকে নিজেদের দলের সমর্থক দাবি করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
এরপর বিজেপির এক কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞসাবাদও চালিয়েছিল পুলিশ। অবশ্য তাতে কোনও সূত্র মেলেনি। শেষমেশ ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে বলেই তদন্তে কার্যত নিশ্চিত হয় টাউন পুলিশ। তবে সেই শত্রুতার পিছনে মহিলা-ঘটিত কারণ, নাকি অন্য কোনও পুরনো অশান্তি রয়েছে— তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। যদিও পুরনো মামলা খতিয়ে দেখায় জট অনেকটা খুলেছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এই খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে একাধিক মহিলার সঙ্গে অর্জুনের সম্পর্ক ছিল। মালঞ্চর বাসিন্দা বেশ কয়েকজন মহিলাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞসাবাদও করেছিল পুলিশ। অবশ্য তাতেও খুনের জট কাটেনি। এ বার পুরনো মামলা খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশের নজরে এসেছে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বরের একটি মামলা। ওই মামলায় অর্জুন সোনকার ওরফে ভোলু ও তাঁর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিক্রম সোনার ওরফে শিবমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল।
অর্জুনের বাড়ির অদূরেই বড়বাতি এলাকার বাসিন্দা শিবমও নানা দুষ্কর্মে যুক্ত বলে পুলিশ জেনেছে। একটি মন্দির নির্মাণকে ঘিরেই অর্জুন ও শিবমের মারপিট হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ওই ঘটনার পরে গত তিনমাস খড়্গপুরের বাইরে ছিল শিবম। দিন কুড়ি আগে শিবম খড়্গপুরে ফিরেছিল। তার পরে অর্জুন খুনের পর থেকেই শিবম পলাতক বলে পুলিশের দাবি। তাই এই খুনের সঙ্গে শিবমের যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এ ক্ষেত্রে পুরনো মারপিটের শত্রুতা নাকি ত্রিকোণ প্রেমের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
যদিও মথুরাকাটিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের পিছনে শিবম একা নয়, এই খুনে আরও বেশ কয়েকজন জড়িয়ে রয়েছে বলেও পুলিশের অনুমান। অর্জুনের ভাই কিষাণ সোনকারের কথায়, “পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমাদের সঙ্গে একটি যুবকের বিষয়ে কথা বলতে ফের ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। আমরা চাইছে দাদার খুনিকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy