দলবদলের পালা চলছেই। রবিবার বিকেলে কুলটিকরিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিএমের প্রধান, উপপ্রধান-সহ মোট পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্য। এর ফলে, কুলটিকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। এ দিন সাঁকরাইলের একজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সাঁকরাইল ব্লকে মোট দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র কুলটিকরিই সিপিএমের হাতে ছিল। সেটি তৃণমূল দখল করায় এবার সাঁকরাইল ব্লক বিরোধীশূন্য হল।
কুলটিকরি পঞ্চায়েতে মোট আসন ৮টি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার মধ্যে ৫টিতে জেতে সিপিএম। বাকি তিনটি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনও সিপিএম দখল করেছিল। এ দিন কুলটিকরিতে তৃণমূলের এক সভায় পঞ্চায়েত প্রধান সুষমা কিস্কু পাতর, উপপ্রধান গোপাল শিট, তিন পঞ্চায়েত সদস্য দশরথ মুর্মু, পুষ্প কুলিয়ারি, গঙ্গরানি সিংহ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য লক্ষ্মণ শিট তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি চূড়ামণি মাহাতো। পরে চূড়ামণি বলেন, ‘‘বামেরাও বুঝেছেন, উন্নয়ন ও প্রগতির একমাত্র বিকল্প হলেন মমতাদি। তাই ওঁরা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের দলে সামিল হয়েছেন।’’ সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক বাদল রানার অবশ্য অভিযোগ, ‘‘ধমক দিয়ে, ভয় দেখিয়ে তৃণমূল আমাদের ওই সদস্যদের দলবদলে বাধ্য করেছে। ওই সদস্যরা ইস্তফা দিলে ওই আসনগুলিতে ফের আমরাই জিতব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy