জেলা পুলিশ সুপারের অফিস চত্বরে ঢুকে পানীয় জলের কুঁজোয় বিষ মেশানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহর মেদিনীপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। ঘটনায় জড়িয়েছে শাসক দলের নামও। কারণ ধৃত যুবক সতীশ গুপ্ত পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, খড়্গপুরের যুব তৃণমূল নেতা মনোজ থাম্বের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করতে এসেছিলেন। মনোজকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ‘জলে বিষ মেশানোর চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে আরও কেউ যুক্ত কি না তদন্তে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কেশপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থলেই ছিলেন জেলা অধিকাংশ পুলিশ আধিকারিক-কর্মীরা। ফলে ঘটনার সময় পুলিশ সুপারের অফিস চত্বর অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ সুপারও সেই সময় অফিসে ছিলেন না। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার অছিলাতেই এসেছিলেন সতীশ। পুলিশ সুপারের নজরদারির দায়িত্ব থাকা পর্যবেক্ষক হঠাৎ দেখেন সতীশ এসপির ঘরের সামনে যে কুঁজোয় জল থাকে, তার সামনে ঘুরঘুর করছেন। সন্দেহ হতেই পাকড়াও করা হয় ওই যুবককে। পুলিশের দাবি, তাঁর পকেটে মেলে কীটনাশকের দু’টি প্যাকেট। এরপরই জেরায় মনোজের নাম করেন সতীশ। রাতে খড়্গপুরের নিমপুরা থেকে মনোজকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছেও মিলেছে কীটনাশকের প্যাকেট ও গাঁজা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করে হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
একটা সময় তৃণমূল যুবার জেলা সভাপতি ছিলেন এই মনোজ। পরে যুব তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে মাস ছয়েক আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ওই পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় মনোজকে। এই ঘটনার পর তাঁকে কেউ বলে মানতেই চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতোর দাবি, ‘‘মনোজ আমাদের দলের কেউ নন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy