Advertisement
E-Paper

দিঘায় বিপজ্জনক ঘাটে ঝুলছে সতর্কতার বোর্ড, শুনছে কে!

দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী বলেন, “আমরা বিপজ্জনক ঘাট অনেক আগেই চিহ্নিত করেছি। কিন্তু নজরদারির কথা পুলিশ ও নুলিয়াদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০২:১৫
সতর্কতা: দিঘা সৈকতে। নিজস্ব চিত্র

সতর্কতা: দিঘা সৈকতে। নিজস্ব চিত্র

ওল্ড ও নিউ দিঘায় বিপজ্জনক স্নানের ঘাট চিহ্নিত করেছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ঘাটগুলিতে লাগানো হয়েছে সতর্কীকরণ বোর্ডও। কিন্তু সে সব থোড়াই কেয়ার পর্যটকদের। বিপজ্জনক ঘাটগুলিতেই রমরমিয়ে চলছে স্নানপর্ব। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবু সৈকতে টহলদারী পুলিশ, নুলিয়াদের সামলেই চলছে স্নান।

দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও দিঘা পুলিশ সূত্রে খবর, ওল্ড দিঘার সীহকগোলা থেকে জগন্নাথ ঘাট পর্যন্ত প্রায় আধ কিলোমিটার এলাকা স্নানের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। পর্ষদ ও আরবান ডেভলেপমেন্ট দফতর থেকে এই সব বিপজ্জনক ঘাটে রীতিমতো বোর্ড লাগিয়ে পর্যটকদের স্নানে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকার মধ্যে দিঘা ১ ও ২ নম্বর ঘাট সবচেয়ে বিপজ্জনক। এ ছাড়াও নিউ দিঘার ক্ষণিকাঘাটও বেশ বিপজ্জনক। গত দু’বছরে এই ঘাটে প্রচুর দুর্ঘটনা হয়েছে। তাই এখানে কোমর জলের বেশি নামা বারণ। এ ছাড়া নিউ দিঘার হাসপাতাল ঘাটও যথেষ্ট ঝুঁকির। সেখানেও কড়া নজরদারি থাকে। শুধু বোর্ড লাগানো নয়, প্রতিদিন দিঘার সৈকতে বাতিস্তম্ভে লাগানো অডিও সিস্টেমের মাধ্যমে অবিরাম পর্যটকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা চলে। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করেই দিব্যি চলছে স্নানের পর্ব।

পুলিশের দাবি, তাঁরা যতটা পারেন পর্যটকদের আটকান। কিন্তু অনেকেই কোনও কথা শোনেন না। আইন না থাকায় তাঁরাও তেমন কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন না।

দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী বলেন, “আমরা বিপজ্জনক ঘাট অনেক আগেই চিহ্নিত করেছি। কিন্তু নজরদারির কথা পুলিশ ও নুলিয়াদের। তবে এটা পর্যটন কেন্দ্র। এখানে পর্যটকদের অতিথির চোখে দেখা হয়। তাই বেশি কড়াকড়ি করা হয় না। তবে জীবন অমূল্য। সমুদ্রে নামার আগে পর্যটকদের তা বুঝতে হবে।’’

ডিএসডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘায় এখন প্রায় ৩০ জন নুলিয়া রয়েছেন। আছে সিভিক ভলান্টিয়ার। সৈকতে নজরদারি চালায় কোস্টাল পুলিশ ও দিঘা থানার পুলিশ। সম্প্রতি ওই কাজে যুক্ত হয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। তবুও পর্যটকদের অবিবেচনায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দিঘায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ দিনে পর্যটকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই লক্ষে দাঁড়ায়। এক একটা ঘাটে তখন পাঁচ হাজার মানুষ স্নান করেন। ফলে গুটিকতক পুলিশ ও নুলিয়ার পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে মদ্যপ অবস্থায় কেউ সমুদ্রে নামছে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “বিপজ্জনক ঘাট চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা আছে। আমরা আমাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকে পর্যটকদের বুঝিয়ে, প্রচার করে সচেতন করার চেষ্টা করি। অনেকে তাতে আমল দিচ্ছেন না। তবে এ বার পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে।’’

Warning board Digha Tourists
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy