স্বখাত-সলিল: ঘাটালের প্রতাপপুরে বন্যার জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
নতুন করে পরিস্থিতির আর অবনতি না হলেও ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। সোমবারেও জলমগ্ন ঘাটাল শহরের কুশপাতা, কোন্নগর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। মহকুমা হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরেও জল জমে রয়েছে। স্কুল-কলেজ সহ এটিএম এখনও ডুবে। বিদ্যুৎ-সহ পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার জলবন্দি মানুষ।
গত শনিবার বিকালে বায়ুসেনার কপ্টার প্রতাপপুরে জলে আটকে থাকা ৬ শিশু-সহ ৩০জনকে উদ্ধার করেছিল। এখনও তাঁদের ঠাঁই শহরের কুশপাতার অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমের ত্রাণ শিবির। প্রতাপপুরের পাঁজা পাড়ায় এখনও আটকে থাকা বাকি জলবন্দিদের কাছে সোমবার নৌকা করে পানীয় জল ও শুকনো খাবার পৌঁছে দেয় পুলিশ এবং এনডিআরএফ-এর লোকজন।
ঘাটালের মহকুমা শাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “আমরা ভিন জেলা থেকে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা করেছি।” রবিবার দাসপুরের দুগর্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বিলি করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। পুলিশের তরফে সোমবার ঘাটাল ও দাসপুরের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা করে শুকনো খাবার ও শিশুদের জন্য পোশাক বিলি করা হয়।
তবে প্রশাসনকে স্বস্তি দিয়ে বাঁধ ভাঙার আগে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলি থেকে জল নামতে শুরু করেছে। জল নেমে গিয়েছে নির্মলবাজার সাব স্টেশনেও। ফলে সেখান থেকে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। এদিকে দিন দশেক বন্ধ থাকার পর রবিবার বিকাল থেকে চালু হয়েছে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক। তবে রাস্তা থেকে জল না সরায় এখনও বন্ধ ঘাটাল-পাঁশকুড়া এবং ঘাটাল-মেদিনীপুর (ভায়া নাড়াজোল) সড়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy