প্রতীকী ছবি
লকডাউনের জেরে ম্লান শিশুর মুখের হাসিও। পরিস্থিতি এমনই যে কেবল রোজকার পণ্যসামগ্রীতেই নয়, টান পড়েছে বেবি ফুডের জোগানেও। ইতিমধ্যেই বেবি ফুডের অভাবে ধুঁকছে শিল্পশহর হলদিয়া। ফলে প্রক্রিয়াজাত খাবারের বদলে চিরাচরিত ভাত-মুড়িতেই খিদে মিটছে শিশুদের।
হলদিয়া টাউনশিপ, দুর্গাচক, সুতাহাটা, চৈতন্যপুর—প্রায় সব জায়গাতেই বেবি ফুড অমিল। ফলে শিশুদের খাবার হিসেবে বেছে নিতে হচ্ছে ভাত-মুড়ি কিংবা খিচুড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষের শরীর প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত নয়। তাই বাজারজাত রেডিমেড খাবারও যতটা এড়ানো যায়, শরীরের পক্ষে ততই মঙ্গল। কিন্তু সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাস দিন দিন যে ভাবে এই ধরনের খাবারের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছিল, তাতে ছাড় পাচ্ছিল না শিশুরাও।
হলদিয়ার শিশু বিশেষজ্ঞ কৌশিক গোস্বামীর কথায়, ‘‘বাজার চলতি বেবি ফুড শিশুদের ক্ষেত্রে সবসময় যে কার্যকর, তা ঠিক নয়। কিন্তু বর্তমান খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাবা-মা জন্ম থেকেই শিশুদের এই বেবি ফুডে অভ্যস্ত করে তোলেন। প্রকৃতি থেকে সরাসরি আমরা যে জিনিসগুলি পাই, সেগুলিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। বাড়ির খাবার শিশুদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর।’’ জেলায় বেবি ফুডের আকালের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দায়ী করেছেন গাড়ি চালকদেরই। অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ চালু রাখার কথা বলা হলেও, গাড়িচালকরা গাড়ি চালাতে রাজি হচ্ছেন না। শিশুখাদ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে আওতায় পড়লেও, গাড়ির চালকেরা করোনা সংক্রমণের ভয়ে কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। স্বভাবতই উৎপাদন সংস্থা থেকে সামগ্রী বাজারে পৌঁছচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy