মঞ্জু রাউল। নিজস্ব চিত্র
জ্বর ও বমি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু রয়েছে। পরিবারের লোকেরা শেষ পর্যন্ত ওড়িশার কটক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের গৃহবধূ মঞ্জু রাউলকে (৩৫)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ অক্টোবর, অষ্টমীতে জ্বর আসে মঞ্জুর। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতে সাময়িক ভাবে জ্বর কমলেও নবমীর রাতে ফের জ্বর আসে। সঙ্গে শুরু হয় বমি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন ১৯ অক্টোবর, দশমীর সন্ধ্যায় মঞ্জুকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুকে সে ভাবে পর্যবেক্ষণ করেনি। রাতে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। পরদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্য হাসপাতলে রেফার করলে পরিবারের লোকেরা ভুবনেশ্বরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। মঞ্জুদেবীর ভাই বিকাশ বেরা বলেন, ‘‘নার্সিংহোমের বিপুল খরচের জন্য দিদিকে কটকের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর ভর্তি করা হয়। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গির জীবাণু মেলে। সেখানে গত শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দিদি মারা যান। ’’
মঞ্জুর স্বামী রাধাকান্ত বলেন, ‘‘রিকসা চালিয়ে সামান্য আয় হয়। তাই বড় হাসপাতালে যাওয়ার খরচ পাব কোথায়? এগরা হাসপাতালে ডাক্তার যদি স্ত্রীকে ভাল করে দেখে রক্ত পরীক্ষা করতে বলতেন তা হলে হয়তো অনেক আগেই ওঁর চিকিৎসা করা যেত। রোগ ধরতে দেরির কারণেই মঞ্জুর মৃত্যু হল।’’
মঞ্জুদেবীর রক্তের রিপোর্টে উল্লেখ ডেঙ্গির।
এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলেই আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তাই এই অভিযোগ ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy