পথ অবরোধ কংগ্রেসের। — নিজস্ব চিত্র।
রাত বাড়লেই মেদিনীপুর শহরে বাড়ে বালি বোঝাই লরির আনাগোনা। দ্রুতগতির এইসব লরির ধাক্কায় প্রায়ই দুর্ঘটনার অভিযোগও ওঠে। সোমবার রাতে শহরের জগন্নাথমন্দিরচকের সামনে এমনই এক বালিবোঝাই লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল এক যুবকের। মৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ গায়েন (৩৩)। তাঁর বাড়ি শহরের পালবাড়ি এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকায় পথ অবরোধ করে কংগ্রেস। তার জেরে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ- প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাত সওয়া বারোটা নাগাদ ইন্দ্রজিৎ হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন। জগন্নাথমন্দিরচকের সামনে বালি বোঝাই একটি লরি আচমকা তাঁকে ধাক্কা মারে। লরির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ইন্দ্রজিৎ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, শহরের ওই রাস্তা দিয়ে অনেক বালিবোঝাই গাড়ি চলাচল করে। শহরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সময়ে লরি চলাচলের কথা নয়। এ জন্য নজরদারিও চলে। অবশ্য সেই নজরদারির ফাঁক গলেই লরি চলাচল করে বলে অভিযোগ। রাতের বেলায় গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়ে। গাড়িগুলোর গতিও বেশি থাকে।
স্থানীয় কাউন্সিলর সৌমেন খানের কথায়, “শহরের মধ্যে এখন অনেক বেশি সংখ্যায় বালি গাড়ি চলাচল করছে। বেশির ভাগ গাড়ির গতিই নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে, মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ- প্রশাসনের উচিত, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ওয়ানওয়ে করা।” পুলিশ-প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসে থাকলে বালি বোঝাই লরি আটকে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। এ বিষয়ে মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীণনারায়ণ ঘোষের আশ্বাস, “বিষয়টি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy