কোথাও মোরাম রাস্তা সংস্কারের অভাবে ভেঙেচুরে একাকার। দীর্ঘদিন দাবি জানিয়েও পাকা রাস্তার বরাদ্দ মেলেনি। কোথাও খালের উপর অস্থায়ী নড়বড়ে বাঁশের সেতুই একমাত্র ভরসা। কোথাও আবার পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট। এ বার সেই সব সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। তৃতীয় অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকায় আপাতত ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়িত করবে জেলা পরিষদ। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প রূপায়ণে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও নতুন প্রকল্প তৈরি করা হবে।’’
জেলার নানা প্রান্তেই রাস্তা, সেতু, পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার এলাকাবাসী। লক্ষ্মীপুরে যেমন পাকা রাস্তা থেকে স্কুল পর্যন্ত মোরাম রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে ভেঙে গিয়েছিল। আশপাশের গ্রামের মানুষ তো বটেই, পাশে স্কুল থাকায় বহু ছাত্রছাত্রীও ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। এই রাস্তা পাকা করতে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে জেলা পরিষদ। একই ভাবে বেলদা থানা থেকে রেল গেট পর্যন্ত মোরাম রাস্তা ঢালাই করতে বরাদ্দ হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। মাদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাটিও নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ডেবরার রাধামোহনপুরের হিজলদার পাশ বয়ে যাওয়া ক্ষীরাই নদীতে আবার কোনও স্থায়ী সেতু কিন্তু ছিল না। এত দিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতেন এলাকাবাসী। দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ওই সাঁকোর উপর নির্ভরশীল। ওই পথ দিয়েই যেতে হয় হাউর স্টেশনে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই এখানে একটি সেতুর ছিল। অবশেষে সেই সেতু নির্মাণে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে জেলা পরিষদ। গড়বেতা-২ ব্লকের কুকাঠিতে আবার পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ১৫ লক্ষ টাকার প্রকল্প হচ্ছে।
এ রকম বেশ কয়েকটি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে জেলা পরিষদ। চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের রঙ্কিনী মন্দিরের সামনে শেড, রাস্তা, কুঠিঘাট নদীবাঁধ সংস্কার, বীরসিংহপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার, বকুলতলা থেকে দাসপুর বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, বাঁশদাতে খালের উপর সেতু প্রভৃতি নানা প্রকল্প রয়েছে তালিকায়। জেলা পরিষদ জানিয়েছে, বর্ষার আগেই যাতে প্রকল্পগুলি রূপায়িত করা যায়, সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy