লজে উদ্ধার হওয়া টাকা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করে চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার সাহাচক এলাকার একটি লজে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা পেল পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে জাতীয় সড়কের ধারের হোটেল এবং লজগুলিতে অভিযান করে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। সেই অভিযানেই উদ্ধার হয়েছে ওই টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই লজে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সমিত মণ্ডল-সহ আরও কয়েক জন নেতা। তাঁদের কাছ থাকা একটি ব্যাগে ওই টাকা উদ্ধার হয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি, নির্বাচনে খরচের জন্য ওই টাকা দলের রাজ্য দফতর থেকে এসেছে। যদিও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে ওই টাকার উৎস কী, কোথা থেকে ওই টাকা নিয়ে আসা হয়েছে এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
আর পাঁচ দিন পর মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে এই নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনার কথা আয়কর দফতরকে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম নিজে জানিয়েছেন, ওই টাকা তাঁদের। রাজ্য থেকে পাঠানো হয়েছে নির্দিষ্ট কাগজপত্র। তিনি বলেন, ‘‘পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার ‘সেন্ট্রাল পয়েন্ট’ মেদিনীপুর। তাই এখানে তাই টাকা আনা হয়েছে।’’ তিনি জানান, ওই টাকা মোট তিনটি জেলাতে যাবে। তার আগে এক জায়গায় রাখা হয়েছিল। পুলিশি অভিযানের নেপথ্যে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের তরফে অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এটা নিয়ে তো আমাদের কোনও কিছু বলার নেই। তবে বিজেপির নগ্ন চেহারা প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়েছে। লুট করা টাকা এ ভাবেই ভাগ করছে বিজেপি। ওদের সঙ্গে জনগণ নেই।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাত ১০টা নাগাদ অভিযান চালানো হয়েছিল লজে। আইটি দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy