Advertisement
E-Paper

অঙ্কে বাড়ল ২১ নম্বর, সংসদের ভূমিকায় ক্ষোভ

৬২ থেকে ৮৩। উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর আশানুরূপ না হওয়ায় প্রথমে স্ক্রুটিনি করায় কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুলের ছাত্র শ্রীজীব গঙ্গোপাধ্যায়। স্ক্রুটিনিতে ৫ নম্বর বাড়ে। তারপরেও ফের অঙ্কের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় শ্রীজীব। ফের খাতা মূল্যায়নের পর আরও ১৬ নম্বর বাড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০৮

৬২ থেকে ৮৩।

উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর আশানুরূপ না হওয়ায় প্রথমে স্ক্রুটিনি করায় কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুলের ছাত্র শ্রীজীব গঙ্গোপাধ্যায়। স্ক্রুটিনিতে ৫ নম্বর বাড়ে। তারপরেও ফের অঙ্কের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় শ্রীজীব। ফের খাতা মূল্যায়নের পর আরও ১৬ নম্বর বাড়ে। দু’দফায় মোট ২১ নম্বর অঙ্কে শ্রীজীবের প্রাপ্ত নম্বর ৬২ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৩। ওই ঘটনায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ শ্রীজীবের পরিবার।

কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুলের ছাত্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শ্রীজীব ২০১৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। বর্তমানে শ্রীজীব হাওড়ার উলুবেড়িয়া কলেজের স্নাতকে রসায়ন (সাম্মানিক) বিভাগের ছাত্র। উচ্চমাধ্যমিকে সে মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৩৭৯ পেয়েছিল। শ্রীজীবের মা পেশায় শিক্ষিকা তরুণা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “উচ্চ-মাধ্যমিকে অঙ্কে ভাল পরীক্ষা দেওয়া সত্বেও আশানুরূপ নম্বর না পাওয়ায় শ্রীজীব ভেঙে পড়েছিল। আর নিজের পছন্দের বিষয় পরিসংখ্যানবিদ্যা নিয়ে কলেজে ভর্তি হতে না পারায় সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রথমে আমরা অঙ্কের খাতা স্ক্রুটিনির জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে আবেদন করেছিলাম। স্ক্রুটিনির পর ওই বিষয়ে ৫ নম্বর বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬৭। কিন্তু ওই নম্বর বৃদ্ধিও ঠিকমতো হয়নি বলেই আমাদের ধারণা হয়েছিল। তারপরেই আমরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের আবেদন নিয়ে আদালতে শুনানির পর চলতি বছরের মাঝামাঝি হাইকোর্টের নির্দেশে শ্রীজীবের অঙ্ক খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। তার পর অঙ্কের নম্বর বেড়ে ৮৩ হয়েছে।”

গত বুধবার নতুন প্রগতিপত্র হাতে পেয়েছে শ্রীজীব। শ্রীজীব বলেন, “উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্ক বিষয়ে ভাল পরীক্ষা দেওয়া সত্বেও আশামত নম্বর না পাওয়ায় খুব ভেঙে পড়েছিলাম আর নিজের পছন্দমতো বিষয়ে কলেজেও ভর্তি হতে পারলাম না।” তরুণাদেবীর অভিযোগ, “শ্রীজীবের অঙ্কের খাতা প্রথমে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি, এটা প্রমাণিত। আর প্রথমবার স্ক্রুটিনির সময়ও যে ওর খাতা যত্ন করে দেখা হয়নি তা আদালতের নির্দেশে প্রমাণ হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ভূমিকা মোটেই আশাব্যঞ্জক ছিল না।” তাঁর দাবি, “যাঁদের অবহেলার জন্য এই ঘটনা ঘটল, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুজন বেরা বলেন, “শ্রীজীবের উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্কে নম্বর বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের জেনেছি। তবে এবিষয়ে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হলে ওঁর উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনায় সুবিধা হত। ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা এড়াতে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও যত্নবান হওয়া উচিত।”

tamluk maths number
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy