জোড়া মসজিদে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
উরস উৎসব ঘিরে এ বারও সেজে উঠছে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ। আজ, মঙ্গলবার ‘মওলা পাক’ হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আল কাদেরির ১১৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে উরস পালিত হবে।
হজরত মহম্মদের ৩২তম ও সুফি সাধনার আদিগুরু ‘বড় পীর সাহেব’ হজরত আব্দুল কাদের জিলানির ১৯তম বংশধর মওলা পাক ১০৭ সালের ৪ ফাল্গুন প্রয়াত হন। এই দিনটিতে দেশ-বিদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের গুরুকে স্মরণ করেন, ধর্মকথা আলোচনা করেন। সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেনে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা মেদিনীপুরে আসেন। আজ, মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছবে সেই ট্রেন। এ বার ২১০০ জন তীর্থযাত্রী আসছেন বলে উরস কমিটির পক্ষে আব্দুস সোহবান জানিয়েছেন। তীর্থযাত্রীদের আনতে ১৯০৩ সাল থেকে এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। যে সব গরিব ধর্মপ্রাণ মানুষ টাকা খরচ করে অনুষ্ঠানে আসতে পারেন না, তাঁদের জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের আয়োজন।
উরস ঘিরে প্রতিবারই উৎসবে মাতে মেদিনীপুর। শুধু মুসলিম সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষই বিশেষ এই দিনে জোড়া মসজিদে হাজির হন। এই উপলক্ষে সাত দিন ধরে চলে মেলা। বাংলাদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রীরা ফেরার সময় নানা সামগ্রী কিনে নিয়ে যান। বাসনপত্র, মাদুর, মিষ্টি সবই বিক্রি হয়। ক্ষীরের গজা, মিহিদানা হাঁড়ি ভর্তি করে নিয়ে যান বাংলাদেশিরা। উরসের সময়টাও ভাল ব্যবসা করে হোটেলগুলিও। এই দু’-একদিন হোটেল ভাড়াও বাড়ে। সব মিলিয়ে একদিনের উৎসবেও চাঙ্গা হয় শহরের অর্থনীতি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দেড় দিনে প্রায় কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy