অবশেষে ঘাটালে পরিবহণ দফতরের অফিস চালু করার অনুমোদন মিলল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার সদর শহর হওয়া সত্বেও এতদিন ঘাটালে পরিবহণ দফতরের (আরটিও) কোনও অফিস ছিল না। ফলে নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন অথবা গাড়ি চালানোর লাইসেন্সের জন্য মহকুমা বাসিন্দাদের ছুটতে হত মেদিনীপুর শহরে। ঘাটালে আরটিও অফিস চালু হলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা শহরবাসীর। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে ঘাটাল শহরে আরটিও অফিস চালু করার অনুমতি মিলেছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদগ মিনা বলেন, “আগামী ছ’মাসের মধ্যেই ঘাটালে আরটিও অফিস চালু করতে বলা হয়েছে। অফিসের জন্য বাড়ি খোঁজার কাজ চলছে। আপাতত অস্থায়ী ভাবে অফিসটি চালু করা যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।”
ঘাটাল মহকুমার সদর শহর হওয়া সত্বেও এতদিন ঘাটালে পরিবহণ দফতরের নিজস্ব কোনও অফিস ছিল না। যদিও জেলার মেদিনীপুর, খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রাম মহকুমায় আরটিও অফিস রয়েছে। ফলে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কর প্রদান অথবা অন্য যে কোনও কাজের জন্য ঘাটাল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুরে ছুটতে হত। একবার গিয়ে কোনও কারণে কাজ না হলে বারবার ওই দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে সমস্যায় পড়তেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর্থিক লোকসানের মুখে পড়ত বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলিও। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বাস ও লরি মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রশাসনের কাছে আরটিও অফিস চালুর জন্য আবেদন জানানো হয়। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের কাছেও স্থানীয় বাসিন্দারা আরটিও অফিস চালু করার জন্য লিখিত ভাবে আবেদন জানান। অবশেষে দফতরের অফিস চালুর পাশাপাশি ওই অফিসের জন্য অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক-সহ চার জন সরকারি আধিকারিক ও কর্মীর পদেরও অনুমোদনও মিলেছে।
ঘাটালে পরিবহণ দফতরের কার্যালয় না থাকায় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক ও ঘাটাল-আরামবাগ সড়কে নিয়মিত নজরদারি চালাতেও সমস্যা হত। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “বিভিন্ন সড়কে নিয়মিত নজদরদারি চালালে একদিকে যেমন বেআইনি পণ্য পরিবহণ কমবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বাড়বে।” আরটিও অফিস চালু হওয়ার খবর পেয়ে খুশি বাস মালিকরাও। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে পুলক প্রামাণিক, প্রভাত পানেরা বলেন, “আগে গাড়ির ফিটনেস শংসাপত্র পাওয়ার জন্য দু’দিন গাড়ি বন্ধ রাখতে হত। তাছাড়াও মেদিনীপুরে যেতেও অতিরিক্ত অর্থ খরচ হত। এ বার এখানেই আরটিও অফিস চালু হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy