পুরভোটে আসন বন্টন নিয়ে খড়্গপুরে বৈঠক করল বামেরা। শুক্রবার ইন্দায় সিপিএমের জোনাল কার্যালয়ে এই বৈঠকে ৩৫টি ওয়ার্ডে আসন বন্টন নিয়েই আলোচনা হয়। তবে সিপিএম ও সিপিআই ছাড়া আর কোনও বাম দলের প্রতিনিধি ছিলেন না। ছিলেন সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডল, জোনাল সদস্য মুরারি ঘোষ, সিপিআই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জ্যোতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সহ-সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট প্রমুখ।
খড়্গপুর বরাবর কংগ্রেসের এলাকা। পরে শক্তি বেড়েছে তৃণমূলেরও। গত লোকসভা নির্বাচনে শহরের বিধানসভায় আবার ভোট প্রাপ্তিতে এগিয়ে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ভোটের লড়াইয়ে ঐক্যই বামেদের ভরসা। বিরোধীদের দাবি, শহরের একটি অংশে বাম নেতাদের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল রয়েছে। তবে তা প্রকাশ্যে না আসায় বামেরা সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু গত ২০১৩ সালে পুরবোর্ডে অনাস্থা ভোটাভুটির পরে বামেদের কয়েকজন কাউন্সিলর দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। এ বার তাই ঐক্যেই জোর দেওয়া হয়েছে।
বামফ্রন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ বারের পুর নির্বাচনের কৌশলেই আসন ভাগাভাগি হবে বলে এ দিন ঠিক হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে যেখানে সিপিআইয়ের প্রভাব বেশি সেখানে সিপিআই প্রার্থী দেবে। আর সিপিএমও একই কায়দায় প্রার্থী বাছাই করবে। সেই হিসেবে সিপিএম ১৮টি ও সিপিআই ১৭টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো অন্য কোনও বাম শরিক আসন করলে সিপিএম একটি আসন ছাড়বে। ১৫ মার্চের মধ্যে প্রার্থী তালিকা জমা পড়বে জেলায়। ১৬ মার্চ জেলার বাম নেতৃত্ব পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন। তারপর শুরু হবে প্রচার। প্রচারের প্রথম ধাপে শহরের অন্ধ্র হাইস্কুলে ২২মার্চ জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সব শাখাস্তরের কর্মীদের নিয়ে কর্মিসভা হবে। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অনিতবরণবাবু এ দিন বলেন, “আমাদের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। বাম ঐক্য এ বারের পুরভোটে সাফল্য আনবে।” সিপিআই জেলা সহ-সম্পাদক বিপ্লববাবুরও বক্তব্য, “খড়্গপুরের মানুষ তৃণমূল ও কংগ্রেসের রাজনীতিতে একটি বোর্ডে তিনজন পুরপ্রধান দেখেছেন। কাউন্সিলর কেনাবেচা দেখেছেন। দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখেছেন। এ সব শহরের উন্নয়নের গতিকে স্তব্ধ করেছে। এ বার তাই গতিশীল পুরবোর্ড গড়তে ঐক্যবদ্ধ বামেরা প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy