Advertisement
E-Paper

কংগ্রেসের দৃষ্টি জঙ্গলমহলে, আসছেন অধীর

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলে এ বার সংগঠন পুনরুদ্ধারে নামছে কংগ্রেস। আজ, শনিবার দুপুরে বেলপাহড়ির সার্কাস মাঠে সভা করতে আসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। জঙ্গলমহল তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে এটিই অধীরবাবুর প্রথম সভা। বস্তুতপক্ষে, জঙ্গলমহলে বিরোধী শক্তি হিসেবে ধীরে ধীরে বিজেপি-র উত্থান ঘটছে। ফলে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই রাজনৈতিক সভাটি প্রকৃতপক্ষে জঙ্গলমহলে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪১

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলে এ বার সংগঠন পুনরুদ্ধারে নামছে কংগ্রেস। আজ, শনিবার দুপুরে বেলপাহড়ির সার্কাস মাঠে সভা করতে আসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। জঙ্গলমহল তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে এটিই অধীরবাবুর প্রথম সভা। বস্তুতপক্ষে, জঙ্গলমহলে বিরোধী শক্তি হিসেবে ধীরে ধীরে বিজেপি-র উত্থান ঘটছে। ফলে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই রাজনৈতিক সভাটি প্রকৃতপক্ষে জঙ্গলমহলে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের মুখ্য সংগঠক সুব্রত ভট্টাচার্যেরও দাবি, “শাসক তৃণমূলের সীমাহীন দুর্নীতি ও সন্ত্রাস এবং দলদাস পুলিশের নির্লজ্জ একতরফা কার্যকলাপের জেরে জঙ্গলমহলের মানুষ প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পথ খঁুজছেন। সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের নেতৃত্বে আগামী দিনে আমরাই থাকব। সেই আন্দোলনের সূচনা করতেই প্রদেশ সভাপতি বেলপাহাড়িতে আসছেন।”

কংগ্রেস সূত্রের খবর, একদা মাওবাদীদের ধাত্রীভূমি বেলপাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসের শিকার বেশ কিছু পরিবারকে অধীরবাবুর সভায় হাজির করা হবে। বাম জমানায় ওই সব পরিবারের কেউ খুন হয়েছেন, কেউ আবার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমলাশোল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। ওই সময় নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিজনেরা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরবর্তীকালে বেলপাহাড়ির বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায় মাটি খঁুড়ে কয়েকটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। সেই কঙ্কাল গুলির এখনও পরিচয় নির্ধারণ হয় নি। এ প্রসঙ্গে সুব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘নন্দীগ্রাম ও গড়বেতায় যদি নিখোঁজ সন্ধানে সিবিআই তদন্ত হয়। তাহলে বেলপাহাড়ির নিখোঁজদের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত হবে না কেন?” এখানেই থেমে থাকেন নি সুব্রতবাবু। বাম জমানায় ওই সব ব্যক্তিদের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করছেনে তিনি। সুব্রতবাবুর কথায়, “বাম জমানায় যাঁদের তথাকথিত ‘মাওবাদী’ বলে স্থানীয় মানুষেরা ভয় পেতেন, তাঁরাই তো এখন তৃণমূলের সক্রিয় নেতা-কর্মী। ফলে, ওই সব খুন-অপহরণের পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, কারা ওই ঘটনায় জড়িত, তা জানার জন্য সিবিআই তদন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে আদালতে যাওয়ার আগে জনভিত্তি মজবুত করতেই অধীরবাবু বেলপাহাড়িতে আসছেন।”

কংগ্রেসের অভিযোগ, শনিবার অধীরবাবুর সভা ঘোষিত হতেই তৃণমূলও একই দিনে পাল্টা সভা-মিছিলের ডাক দিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের অবশ্য দাবি, “অসমে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে শনিবার বেলপাহাড়ির শিলদায় তৃণমূলের ওই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ আসবেন।” তাঁর কটাক্ষ, “কংগ্রেসের তো কোনও সংগঠনই নেই। জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে। অনেকে বেড়াতে আসছেন। অধীরবাবুরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন।”

jhargram congress adhir chowdhury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy