সকালটা শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে। কোথাও বাজছিল— ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’, কোথাও ‘আমারও পরাণ যাহা চায়’। বেলা গড়াতেই গানের ভোলবদল! কোথায় রিমিক্স, কোথাও রক, কোথাও আবার আইটেম নম্বর। সাউন্ড বক্সের দাপটে কান পাতাই দায়।
শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহন অনুষ্ঠান ছিল। দিনটিকে স্মরণীয় করতে রাখতে তৃণমূল এ দিন জেলা জুড়ে বিজয়োৎসব পালন করেছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে দিনভর বেজেছে সাউন্ড বক্স। মেদিনীপুর কলেজের সামনে দিনভর মাইক বেজেছে। অদূরে পঞ্চুরচকেও দিনভর মাইক বেজেছে। মেদিনীপুর কলেজে এখন ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। ক্লাসও ছিল। ছিল প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। তাও কলেজের সামনে ১০-১২টি স্পিকার বাজায় সমস্যা হয়েছে। মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র বেরা বলেন, “কলেজের সামনে মাইক বাজানো হচ্ছিল। সকালের দিকে শব্দ বেশি ছিল। পরে ওদের (তৃণমূলকর্মীদের) আওয়াজ কমাতে বলা হয়। ওরা কমিয়েও দেয়।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “উৎসাহী কর্মীরা কিছু এলাকায় মাইক বাজিয়েছেন। তবে জোরে বক্স বেজেছে বলে জানা নেই!”
শুক্রবার বিকেলে শহরের বটতলাচকে বাজতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের নির্বাচনী গান, ‘দেখো বদলে গেছে, দেখো এগিয়ে গেছে বাংলা, আরও আরও ভাল দিন আসছে’। নির্বাচনী প্রচারে গানের হাত ধরা নতুন কিছু নয়। প্রচার জমাতে এ বার তৃণমূলও গানের আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের সুশাসনের দাবি ছত্রে ছত্রে। তা শুনে বটতলাচকে এক পথচারী বলছিলেন, “এ বার সুদিন এলেই হল!”