স্বামী ঘরে ছিলেন না। সেই সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেলদার দেউলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে বেলদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ ওই কনস্টেবল নিখিল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তাঁকে এ দিন মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়। আদালতে ওই মহিলার গোপন জবানবন্দির আবেদনও জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক হল পুরুলিয়ার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের নিখিল মণ্ডল বেলদা থানার কনস্টেবল পদে নিযুক্ত রয়েছেন। এই থানারই পুলিশ মেসে মাস পাঁচেক ধরে অন্য কয়েক জনের সঙ্গে রাধুনির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বছর তিরিশের ওই গৃহবধূ। পুলিশের দাবি, মাস খানেক হল দু’জনের আলাপ ঘনিষ্ঠতায় গড়ায়। তারই জেরে ইদানীং দেউলি এলাকায় সন্ধের পরে ওই কনস্টেবলের যাতায়াত বাড়ছিল। স্থানীয়েরা জানান, ওই বধূর স্বামী পেশায় শ্রমিক। প্রতিদিন রাতেই কাজে যেতেন তিনি। তবে বুধবার রাতে কাজে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে আসেন। অভিযোগ তখনই অভিযুক্ত কনস্টেবল দরজা খুলে ছুটে পালাতে গেলে তাঁকে ধরে ফেলেন তিনি। চিত্কার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন পড়শিরা।
রাত এগারোটা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত ওই কনস্টেবলকে ঘিরে রাখেন পড়শিরা। বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল এলাকায় গিয়ে মৃদু লাঠিচার্জ করে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে উদ্ধার করেন। অভিযোগকারিনী বধূর কথায়, “রাত সাড়ে দশটায় ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। এরপরই ওই কনস্টেবল বাড়িতে জোর করে ঢুকে ধর্ষণ করে।” বৃহস্পতিবার সকালে এই মর্মেই থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগকারিনীর স্বামী বলেন, “রাধুনির কাজের সূত্রে ওই কনস্টেবলের সঙ্গে স্ত্রী-র আলাপ হয়েছিল। কিন্তু, বুধবার রাতের ওই ঘটনার পরে স্ত্রী জানিয়েছে ওই পুলিশকর্মী জোর করে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেছে।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy