Advertisement
E-Paper

ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালতে বিক্ষোভ আইনজীবীদের

আদালত অবমাননার অভিযুক্ত এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না-এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখালেন আইনজীবীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন ও একটি ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৪ ০২:০৭

আদালত অবমাননার অভিযুক্ত এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না-এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখালেন আইনজীবীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন ও একটি ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’। কমিটির সভাপতি সতীন্দ্রনাথ পতি চৌধুরী জানান, ঝাড়গ্রাম লোক আদালতে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, বন্টনকৃত একটি জমির চূড়ান্ত ডিক্রি হওয়া সত্ত্বেও বিএলআরও দফতর ওই জমির মিউটেশন করছে না। ওই ব্যক্তিকে হয়রান করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার লোক আদালতে ওই অভিযোগের শুনানির জন্য ঝাড়গ্রাম ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিএলআরও) জীবনকৃষ্ণ সরকারকে তলব করেছিলেন বিচারক পার্থসারথি চক্রবতী। পার্থসারথিবাবু ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক। তিনি মহকুমা আইনি পরিষেবা কমিটির চেয়ারম্যানও। কিন্তু জীবনকৃষ্ণবাবু শুনানি চলাকালীন আদালত সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবীরা। আদালতের মাধ্যমে জীবনকৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়।

শুক্রবার জীবনকৃষ্ণবাবু নিজে আদালতে আসেন। বিচারক পার্থসারথিবাবুর চেম্বারে ঢুকে কথা বলেন তিনি। তারপর আদালত ছেড়ে যান জীবনকৃষ্ণবাবু। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্ত আদালতে এসে চলে গেলেন, অথচ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল না। সতীন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্য, “একজন সরকারি আধিকারিক যদি আদালত অবমাননা করে পার পেয়ে যান, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে কী বার্তা পৌঁছবে? ওই আধিকারিককে বাঁচানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। আমরা সাংগঠনিক স্তরে আলোচনা করে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাব।” পুলিশের একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, ওই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় অভিযোগ করেছে আদালত। আইনের নির্দিষ্ট ধারায় বলা আছে, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক তদন্তে সহযোগিতা করলে গ্রেফতার করার প্রয়োজন না-ও হতে পারে। তবে অভিযুক্তকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে হবে। এ দিন ওই আধিকারিক আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন নি। জীবনকৃষ্ণবাবু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি। জেলার উপ ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক তপনকুমার মান্না বলেন, “ওই বিএলআরও এখনও আমাদের কিছু জানাননি।”

jhargram court demonstration lawyers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy