তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম হলেন দু’পক্ষের চার জন। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ডেবরার ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মকারিনপুর গ্রামে। এ দিন ওই এলাকায় ব্লক তৃণমূলের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। বিবাদমান দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে মহকুমা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বিধায়ক অনুগামী ব্লক তৃণমূল সভাপতি রতন দে ও তার বিরোধী গোষ্ঠীর জেলা নেতা অলোক আচার্যের সম্পর্কের অবনতি থেকেই এই বিরোধ।
ডেবরা ব্লক জুড়ে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই দু’টি গোষ্ঠীর কোন্দলে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও আবার দু’গোষ্ঠী এক হয়ে গিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। লোকসভা নির্বাচনের পরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন সোরাব হুসেন। ইদানীং তিনি অলোক আচার্যের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন। এ দিন দলের বিরুদ্ধে কুৎসা ও বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে ওই এলাকায় মিছিল বের করে তৃণমূল নেতৃত্বে। সেখানে ছিলেন ব্লক সভাপতি রতন দে ও বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাধাকান্ত মাইতি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বাধে। জখম হন দু’পক্ষের দু’জন করে চারজন। ব্লক তৃণমূল সভাপতি রতন দে-র অবশ্য অভিযোগ, তাঁদের মিছিলে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “তবে যাঁরা হামলা করেছে, তাঁরা এক সময় তৃণমূল করত। কিন্তু এটা গোষ্ঠী কোন্দল নয়।” সোরাব হুসেন অবশ্য বলেন, “রতন দে ও বিধায়কের নেতৃত্বে মিছিল হচ্ছিল। ওই মিছিলের পরেই স্থানীয় এক চিকিৎসকের চেম্বারে হামলা হয়। তৃণমূল সমর্থক ওই চিকিৎসক দলের নেতা অলোক আচার্যকে সমর্থন করছেন, এটা ভেবেই হামলা করা হয়েছে। যাঁরা জখম হয়েছেন প্রত্যেকেই দলের লোক।” পুজো নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন, এই বলে মন্তব্য এড়িয়েছেন অলোক আচার্য। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দুলাল মাইতির জবাব, “মকারিনপুরের ওই ঘটনায় বিজেপি যুক্ত নয়। আমি যতটুকু জানি ঘটনাটি তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy