Advertisement
০১ মে ২০২৪

নিলামের আগেই রাস্তার ধারের গাছ কাটার অভিযোগ

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটা শুরুর কথা চাউর হয়েছিল আগেই। নিলামের আগেই রাস্তার ধারের কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। কেশিয়াড়ি ব্লকের নছিপুর গ্রাম পঞ্চায়তের ভেলামপুর মৌজার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২০
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটা শুরুর কথা চাউর হয়েছিল আগেই। নিলামের আগেই রাস্তার ধারের কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। কেশিয়াড়ি ব্লকের নছিপুর গ্রাম পঞ্চায়তের ভেলামপুর মৌজার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদতেই ওই এলাকায় গাছ কাটার চক্রান্ত হয়েছে। গাছ চুরির অভিযোগ ওটার পরে সম্প্রতি ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে দরপত্র ডেকে গাছগুলি নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি। কেশিয়াড়ির বিডিও অসীমকুমার নিয়োগী বলেন, “দিন কয়েক ধরেই গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে আমার কাছে খবর আসছিল। পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার ডাকতে বলেছি।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় সুবর্ণরেখা ঘেঁষা নছিপুর থেকে বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিঘাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার মোরাম রাস্তা পাকা করে সম্প্রসারণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে রাস্তাটি সম্প্রসারণের জন্য নছিপুরের ভেলামপুর ও করঞ্জি এলাকায় রাস্তার দু’ধারে থাকা বেশ কিছু বাবলা ও অর্জুন গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা ওই গাছগুলি দরপত্র ডেকে নিলাম করার কথা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিলামের আগেই দিন কয়েক ধরে স্থানীয় কিছু যুবক গাছ কাটার কাজ করছে। ওই যুবকদের অধিকাংশই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত বলে অভিযোগ। তাই পঞ্চায়েতও নির্বিকার। পঞ্চায়েত প্রধান মণিমালা ঘোষ বলেন, “দু’-তিনটি গাছ কাটা হয়েছিল। তবে আমার জানা নেই, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলে যুক্ত কি না। বিডিও আমাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। আপাতত গাছগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।”

অভিযোগ, গাছগুলি চিহ্নিত করা হলে নজরদারির অভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে গাছগুলি। বস্তুত, কেশিয়াড়ি এলাকায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস। অন্য গোষ্ঠীর নেতৃত্বে জেলা নেতা বিষ্ণুপদ দে। নছিপুর, বাঘাস্তি অঞ্চলে বিষ্ণুপদ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণই বেশি। ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, “রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বেআইনিভাবে গাছ কাটা হচ্ছিল বলে জানতে পেরে পুলিশ-প্রশাসনেও বলেছি। স্থানীয়রা ওই দুষ্কৃতীদের আমাদের দলের লোক বলছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমার মনে হয় প্রকৃত তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করবে না।” যদিও এ বিষয়ে জগদীশ বিরোধী গোষ্ঠীর জেলা নেতা বিষ্ণুপদ দে বলেন, “এখন তো সকলেই তৃণমূল। তাই যে কোনও অন্যায় কাজেও দলের বদনাম ছড়াচ্ছে। আর কোনও গাছ যাতে চুরি না যায়, সেবিষয়ে নজর রাখছি। পঞ্চায়েতও টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

illegal tree cutting kharagpur gram sadak yojna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE