Advertisement
২২ মে ২০২৪
Murder

ভাইকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিলেন, ১০ দিন পর দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার দাদা, বৌদি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুন ভিন্‌রাজ্যে কাজ করতেন। দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। গত প্রায় ১০ দিন যাবৎ তাঁকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়।

image of body

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৬
Share: Save:

ভাইকে খুনের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে। সেই দাদার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেহটিকে পুঁতে দিয়েছিলেন বাড়ির কাছে একটি পুকুরের পাড়ে। তবে শেষরক্ষা হল না। প্রতিবেশীদের চাপে পড়ে অবশেষে ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন দাদা। কাঁথি থানার মহিষাগোট গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার কাঁথি থানার পুলিশ এসে মৃত মিঠুন সাঁতরার দেহটি পুকুরের ধার থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত দাদা এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুন ভিন্‌রাজ্যে কাজ করতেন। দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। গত প্রায় ১০ দিন যাবৎ তাঁকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা মিঠুনের খোঁজ করলে দাদা নারায়ণ এবং বৌদি সোমা জানান, মিঠুন আবার কাজের জায়গায় চলে গিয়েছেন। কাউকে না জানিয়ে কেন তিনি চলে গিয়েছেন, সেই প্রশ্ন ওঠে। সোমবার রাতে প্রতিবেশীরা গোপন সূত্রে জানতে পারেন, মিঠুনের দাদা শ্রাদ্ধশান্তির জন্য এক পুরোহিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর পরেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়।

মঙ্গলবার সকালে গ্রামবাসীরা মিঠুনের দাদাকে চাপ দেন। গ্রামবাসীদের চাপে পড়েই ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেন নারায়ণ। গ্রামবাসীরা দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন। খবর পেয়ে কাঁথি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।

কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, ‘‘প্রায় ১০ দিন আগেই আমরা গোপন সূত্রে ওই যুবকের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতে পারি। এর পরেই গোপনে এলাকায় খোঁজখবর চালানো হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে গ্রামবাসীদের সূত্রে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য এসেছি। অভিযুক্ত দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই মৃতের দাদা ও বৌদিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে খুন, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দা শিবকুমার সাঁতরা বলেন, ‘‘মিঠুন বাড়ি ফেরার পর প্রতি দিনই গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। কিন্তু দিন দশেক তাঁকে দেখতে না পেয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। বারে বারে মিঠুনের বাড়িতে এই নিয়ে আমরা জিজ্ঞাসা করলে তার দাদা, বৌদি, বাবা সকলেই জানায় ছেলেটি আবার বাইরে চলে গিয়েছেন। কিন্তু কাউকে না বলে কেন বাইরে চলে গেলেন তা নিয়েই আমাদের সন্দেহ দানা বাঁধে।’’ শিবকুমার আরও বলেন, ‘‘প্রায় আড়াই বছর আগেও একবার মিঠুনের মাথায় লোহার রড দিয়ে মেরেছিলেন তাঁর দাদা। দীর্ঘ দিন কলকাতায় চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। এ বার ফিরে আসার পর তাঁকে খুন করে দিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE