Advertisement
০৩ মে ২০২৪

পুজোর মুখে কাগজ কল বন্ধ বেলতলায়, ক্ষোভ

পুজোর মুখে বন্ধ হল ঝাড়গ্রামের বেলতলা এলাকার ‘ইউনিটেক পেপার অ্যান্ড বোর্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে একটি কাগজ কল। ১১২ জন শ্রমিক কাজ করতেন ওই কাগজ কলে। দৈনিক ২০ টন ক্র্যাফট পেপার উৎপাদন হত। বৃহস্পতিবার সেখানে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝোলায় কর্তৃপক্ষ। পুজোর আগে কারখানা বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ ও আশঙ্কার দোলাচলে রয়েছেন শ্রমিকেরা। কারখানায় সিটু, তৃণমূল ও ঝাড়খণ্ডীদের ইউনিয়ন রয়েছে।

কারখানার গেটে নোটিস।—নিজস্ব চিত্র

কারখানার গেটে নোটিস।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০৮
Share: Save:

পুজোর মুখে বন্ধ হল ঝাড়গ্রামের বেলতলা এলাকার ‘ইউনিটেক পেপার অ্যান্ড বোর্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে একটি কাগজ কল। ১১২ জন শ্রমিক কাজ করতেন ওই কাগজ কলে। দৈনিক ২০ টন ক্র্যাফট পেপার উৎপাদন হত। বৃহস্পতিবার সেখানে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝোলায় কর্তৃপক্ষ।

পুজোর আগে কারখানা বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ ও আশঙ্কার দোলাচলে রয়েছেন শ্রমিকেরা। কারখানায় সিটু, তৃণমূল ও ঝাড়খণ্ডীদের ইউনিয়ন রয়েছে। তবে আইএনটিটিইউসি শ্রমিক সংগঠনটিরই প্রভাব বেশি। শুক্রবার আইএনটিটিইউসি, সিটু ও ঝাড়খণ্ড মজদুর সঙ্ঘ এই তিনটি শ্রমিক সংগঠন একযোগে ঝাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত স্থানীয় মানিকপাড়া পুলিশ বিট হাউসে লিখিত অভিযোগ করেছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) কাটা হলেও তা বিভাগীয় দফতরে জমা দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে বহুবার মালিক গোষ্ঠীর কাছে দরবার করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। পিএফ জমা পড়ার রসিদ চেয়েও পাননি শ্রমিকেরা। এরপর কলকাতায় পিএফ দফতরে খোঁজ নিয়ে শ্রমিকেরা জানতে পারেন, ২০১২ সালের মার্চ মাসের পর শ্রমিকদের পিএফ জমা পড়েনি। এই নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির ঝামেলা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। মাঝে মধ্যেই ওই কারখানায় লে-অফ হচ্ছিল। বুধবারও লে-অফ হয়। এরপর বৃহস্পতিবার কারখানার দরজায় ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিশ ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। নোটিশে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের একাংশের অনুপস্থিতি ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। কারখানার শান্তির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কারখানার ইনচার্জ বব্বন প্রসাদ বলেন, “শ্রমিকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা পিএফ নিয়মিত জমা দিচ্ছি। কেন কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি তা নোটিশে লেখা আছে।”

১৯৮৮ সালে এই কাগজ কলটি চালু হয়। তবে ২০১০ সালে মাওবাদী হুমকির জেরে কারখানা বন্ধ করেন তৎকালীন মালিক গোষ্ঠী। ২০১১ সালে মালিকানা বদল হয়ে কাগজ কলটি চালু হয়েছিল। তারপর থেকে শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নানা কারণে সমস্যা চলছিল। সমস্যা মেটাতে গত বছর গোপীবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো কাগজ কলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিলেন।

এ দিন চূড়ামণিবাবু বলেন, “পুজোর মুখে এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। শ্রমিকদের স্বার্থে অবিলম্বে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

paper mill jhargram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE