Advertisement
১৯ মে ২০২৪
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক

পুলিশকে কার্যালয়ে আটকে রাখায় অভিযুক্ত তৃণমূল

বেআইনি অস্ত্র রাখার পুরনো একটি মামলার সাক্ষীকে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে। গোপন সূত্রে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিন পুলিশ কর্মী। সাক্ষীকে ছাড়া তো দূর, উপস্থিত পুলিশ কর্মীদেরই ঘণ্টাখানেক আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৯
Share: Save:

বেআইনি অস্ত্র রাখার পুরনো একটি মামলার সাক্ষীকে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে। গোপন সূত্রে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিন পুলিশ কর্মী। সাক্ষীকে ছাড়া তো দূর, উপস্থিত পুলিশ কর্মীদেরই ঘণ্টাখানেক আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিশকে আটকে রাখার মতো গুরুতর অভিযোগের নেতৃত্বে ছিলেন দলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক সুনীল দেব অধিকারী। তাঁর স্ত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুলিশকে আটকে রাখা হয়নি। ঘণ্টাখানেক আলোচনার পরে তাঁদের ছাড়া হয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন অবশ্য বলেন, “পুলিশকে আটকে রাখা হয়নি। যদি এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ জানায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি বাজার এলাকার এক বাসিন্দাকে চলতি বছরে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই মামলার সাক্ষী হয়েছিলেন স্থানীয় বল্লুক গ্রামের অভিজিত্‌ দে। তিনি এক সময় ভাড়ায় পুলিশের গাড়ি চালাতেন। তৃণমূলেরই একাংশ জানাচ্ছেন, পুরানো মামলার প্রসঙ্গ তুলে অভিযুক্তের পরিজনেরা ব্লক কার্যালয়ে এসে অভিজিতের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। এরপরেই অভিজিত্‌কে তৃণমূলের কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়।

তৃণমূলেরই একটি সূত্রে খবর, অভিজিত্‌ কেন ওই মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়। এই সময় অভিজিত্‌কে চড়-থাপ্পর মারা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই পুলিশ পৌঁছয়। তখন সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত, ঘণ্টা খানেক ওই পুলিশ কর্মীদেরও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় স্থানীয় বাজারে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে তমলুকের ওসি কৃৃষ্ণেন্দু প্রধানের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে অভিজিত্‌ ও তিন পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে।

তমলুক থানার ওসি বলেন, “পুরনো একটি মামলায় সাক্ষী থাকা এক ব্যক্তিকে আটকে রাখার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কর্মীরা গিয়েছিল। এ নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা হয়। পরে সেই সমস্যা মেটে।” ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য দিবাকর জানা বলছেন, “একটি পুরানো মামলায় পুলিশ যাকে সাক্ষী করেছিল, তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সে কী ভাবে সাক্ষ্য দিয়েছিল। পরে পুলিশ এলে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয়। তারপরই সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” পুলিশকে আটকে রাখার অভিযোগ মানতে চাননি তিনিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police tmc tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE