Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ফল প্রকাশে স্থগিতাদেশ, সাঁকরাইল কলেজে অশান্তি

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি কলেজের নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ টিএমসিপি’র সদস্যরা কলেজে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের ঘেরাও করে রাখা হয়। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অমিয় মহাপাত্রের পদত্যাগের দাবিতে কলেজে অবস্থান-বিক্ষোভও করে টিএমসিপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:০৫
Share: Save:

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি কলেজের নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ টিএমসিপি’র সদস্যরা কলেজে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের ঘেরাও করে রাখা হয়। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অমিয় মহাপাত্রের পদত্যাগের দাবিতে কলেজে অবস্থান-বিক্ষোভও করে টিএমসিপি। সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের সহ সভাপতি সমায় মাণ্ডি কলেজে যান। সমায়বাবুর হস্তক্ষেপে অবস্থান-বিক্ষোভ ওঠে।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কলেজের নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটিতে ৪ জন স্থায়ী শিক্ষককে রাখার কথা। কিন্তু কুলটিকরি কলেজের নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটিতে দু’জন স্থায়ী শিক্ষককে রাখা হয়। কারণ, ওই কলেজে মাত্র দু’জন স্থায়ী শিক্ষক, বাকিরা আংশিক সময়ের শিক্ষক। অমিয়বাবু সম্প্রতি ওই অনিয়মের বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। এরপরই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিক্ষুব্ধ টিএমসিপি এবং এসএফআই।

কুলটিকরি কলেজের ছাত্র সংসদের ১৫টি আসনের সব ক’টিতেই একতরফা মনোনয়ন দাখিল করেছিল টিএমসিপি। ফলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের দোরগোড়ায় ছিল শাসক দল প্রভাবিত ছাত্র সংগঠনটি। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ বিধি মেনে হয়নি বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন কিছু ছাত্রছাত্রী, যাঁদের অধিকাংশই তৃণমূলপন্থী হিসেবে পরিচিত।

অন্য দিকে, একই অভিযোগে পৃথক ভাবে হাইকোর্টে আপিল করে এসএফআই। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগের শুনানি না-হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর আগামী চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। এই সংক্রান্ত নির্দেশের প্রতিলিপি মঙ্গলবার হাতে পান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ততক্ষণে কলেজে পৌঁছে যান নির্বাচনে অংশ নেওয়া টিএমসিপি’র সদস্যরা। সেখানে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতিও হয়। আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের দাবি জানান তাঁরা। কিন্তু আদালতের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে

জানিয়ে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপরই শুরু হয় ঘেরাও-বিক্ষোভ। টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “আদালতের নির্দেশের কথা শুনেছি। আদালতের রায় মেনে চলব। কারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সেই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

college election sakrail college
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE