কখনও যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ছে। কখনও বা কর্মীর সংখ্যা থাকছে কম। মাঝে-মধ্যে পূর্ব ঘোষিত শিবির বাতিলও হয়ে যাচ্ছে। আধার কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে এমনই নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে শালবনিতে। শিবির বাতিল হওয়ায় লোকজনদের মধ্যে অসন্তোষও দেখা দিচ্ছে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। কিছু সমস্যা যে হচ্ছে তা মানছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের জেলা আধিকারিক শম্পা হাজরা। তিনি বলেন, “শালবনিতে আধার কার্ডের কাজ চলছে। কিছু সমস্যা হচ্ছে। যন্ত্র তো খারাপ হয়ই। তবে ব্যাক-আপ আছে।” মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্তর আশ্বাস, “সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
আধার কার্ড তৈরির জন্য নাগরিকের ছবি তোলার পাশাপাশি আঙুলের ছাপও নেওয়া হয়। সেই কাজের জন্যই শালবনিতে অস্থায়ী শিবির চলছে। সপ্তাহ কয়েক ধরেই বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই শিবির হচ্ছে। আধার নম্বরের ভিত্তিতে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির ব্যবস্থা চালু করেছিল কেন্দ্রের পূর্বতন ইউপিএ সরকার। পরে অবশ্য নানা সমস্যায় গোটা বিষয়টিও ধামাচাপা পড়ে যায়। এখন নরেন্দ্র মোদী সরকার ফের আধার কার্ড তৈরির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী মার্চের মধ্যে এ রাজ্যে পাঁচ বছরের উর্ধ্বে সব নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্যসংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জাতীয় জনগণনা দফতর। সেই লক্ষ্যেই নির্ধারিত অস্থায়ী শিবিরগুলো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একটি সংস্থাই শালবনিতে শিবির করে এই বায়োমেট্রিক তথ্যসংগ্রহের কাজ করছে। কবে কোন এলাকায় শিবির হবে, তা আগে থেকেই জানানো হয়। এখন নির্ধারিত দিনে শিবির বাতিল হলে গ্রামবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার ভাদুতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিবিরে মেশিনপত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এর দু’দিন আগে একই ঘটনা ঘটে শালবনি এনএম গালর্স উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিবিরে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “পরিকাঠামো দুর্বল হলে সমস্যা তো হবেই। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মেশিনপত্রের ব্যাকআপ থাকছে না। থাকলেও তা নামমাত্র।” ওই কর্তার আশ্বাস, “আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।” শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “যে সংস্থা কাজটি করছে, তাদের পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা ছিল। তাই কয়েকটি শিবিরের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে এখন সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। সব শিবিরই চলছে।” ভাদুতলার এক বাসিন্দার কথায়, “দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তারপর ছবি তোলার ডাক পড়ে। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মেশিনপত্র খারাপ থাকায় যদি ছবি না- তুলে বাড়ি ফিরতে হয়, তাহলে তো অসন্তোষ দেখা দেবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy