Advertisement
১৮ মে ২০২৪

রবিবাসরীয় প্রচারে যুযুধান

দোরগোড়ায় ভোট। হাতে সময় বেশি নেই। তাই রবিবার জোরকদমে প্রচারে তত্‌পর সব রাজনৈতিক দলই। রবিবার দাঁতনে রোড-শো করেন মেদিনীপুর কেন্দ্রের কংগ্রেসের চিকিত্‌সক প্রার্থী বিমল রাজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩২
Share: Save:

দোরগোড়ায় ভোট। হাতে সময় বেশি নেই। তাই রবিবার জোরকদমে প্রচারে তত্‌পর সব রাজনৈতিক দলই।

রবিবার দাঁতনে রোড-শো করেন মেদিনীপুর কেন্দ্রের কংগ্রেসের চিকিত্‌সক প্রার্থী বিমল রাজ। এ দিন সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন ডাক্তারবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী শুভা রাজ, জেলা সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় সাহু, ব্লক সভাপতি প্রণব পড়িয়া প্রমুখ। এ দিন দাঁতন বাজার থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। সেখান থেকে কংগ্রেস প্রার্থীর রোড-শো খালিপুর, পানসণ্ডপুর, কোটপাদা, বড়া, অন্ত্রি, বামুনদা, তররুই, মনোহরপুর, বামুনপুকুর এলাকা পরিক্রমা করে। বামুনপকুরে বিশ্রাম নিয়ে ফের পথ চলা শুরু করেন বিমলবাবু। স্থানীয় বাসিন্দারা কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে তাদের নানা অভিযোগের কথা জানান। সমস্ত কিছু শুনে বিমলবাবু বলেন, “রাজ্যের কোনও আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধি এত বছরে এই সমস্ত আদিবাসী এলাকার উন্নয়নে নজর দেয়নি। কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার টাকা পাঠালেও এখানে রাস্তার কাজ হয়নি। আমি তাই এই এলাকার মানুষকে আমাকে কাজ করার একটা সুযোগ দিতে বলেছি। যদি আমি জয়ী হতে না পারি, তাহলেও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।”

অন্য দিকে, এ দিন দাঁতনের ধানহেলিয়া, কোটপাদা, বড়াতে বামেদের কর্মিসভা আয়োজিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই প্রার্থী প্রবোধ পণ্ডা, সিপিআই জেলা নেতা গুনধর পাত্র, সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অনিল পট্টনায়েক প্রমুখ। এ দিন সকালে ধানহেলিয়ায় প্রথম কর্মিসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে বাকি দু’টি কর্মিসভা হয় কোটপাদা ও বড়াতে। ভোট প্রচারের রণকৌশল নিয়ে এ দিন সভাগুলিতে আলোচনা হয়।

সভায় সিপিআই প্রার্থী প্রবোধ পণ্ডা বলেন, “সভায় একেবারে বুথস্তরের নেতৃত্বদের নিয়ে শেষ মূহুর্তের প্রচারের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” তবে এলাকায় অনুন্নয়নের অভিযোগ নস্যাত্‌ করে দিয়ে প্রবোধবাবুর দাবি, “রাস্তার উন্নয়ন হয়নি, এটা ঠিক কথা নয়। আমাদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় দাঁতন থেকে বরঙ্গী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার হয়েছে।” তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধানের অভিযোগ, “বাম বিধায়ক ও সাংসদ কেউ কোনও দিনই রাস্তার উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। পঞ্চায়েত সমিতিতে ওঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন হয়তো ওই দাঁতন-বরঙ্গী রাস্তা সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু ওই রাস্তা আবার আগের বেহাল অবস্থায় ফিরছে। পঞ্চায়েতে আমরা ক্ষমতায় এসে এলাকার উন্নয়নে জোর দিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

election campaign kharagpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE