সরকারি জমিতে পুরুষানুক্রমে ব্যবসা করে চলেছেন। যদিও জমিতে ব্যবসা করার বৈধ নথি নেই। ফলে বেআইনি দখলদারের তকমা সেঁটে বারবার সরিয়ে দেওয়ার হুমকিও এসেছিল নানা দিক থেকে। তারই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের জুবিলি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। হাইকোর্ট লিজ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টে আবেদন জানান। আবারও হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে লিজের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে হাজির হন ঝাড়গ্রাম জুবিলি মার্কেট ব্যবসায়ী কংগ্রেসের সদস্যরা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপেন্দু সেনগুপ্ত বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রশাসন আমাদের লিজ দিচ্ছে না। বারেবারেই আমাদের ওখান থেকে উৎখাত করার চক্রান্তও হয়েছিল। দু’বার বাজারে আগুন লাগারও ঘটনা ঘটেছিল। এসব দেখেই আমরা হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। আদালত ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।” এ ব্যাপারে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “আদালতের নির্দেশ এখনও পাইনি।”
ঝাড়গ্রামের জুবিলি মার্কেট খুবই জনপ্রিয়। দীর্ঘদিন আগে এই বাজার তৈরি করেছিলেন স্থানীয় মানুষ। প্রথমে খড়ের ছাউনি বা ছিটেবেড়াতেই বাজার গড়ে উঠেছিল। ধীরে ধীরে তা পোক্ত হতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ৪৭২ জন ব্যবসায়ী ওখানে ব্যবসা করেন। সরকারি জমিতেই এই বাজার গড়ে উঠলেও হাতে গোনা গুটিকয় ব্যবসায়ী কখনও কখনও সরকারি খাতে কিছু টাকা জমা দিয়েছেন বলে তাঁদের দাবি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেউ সরকারকে কোনও রাজস্ব দেননি। যদিও ব্যবসায়ীদের কথায়, “আমরা সরকারকে রাজস্ব দিতেই তো চাই। ওই কারণেই লিজের আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন পদক্ষেপ না করতে পারলে আমরা কী করতে পারি।” ১৯৮৮ সালে একবার এই বাজারে আগুন লাগে। পরের বছরও ফের আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছিল এই বাজার। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।এই বাজারটি অনগ্রসর উন্নয়ন দফতর দেখভাল করে। কেন ওই দফতরের পক্ষ থেকে কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে রাজস্ব নেওয়া হয় না এসব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy