দলীয় সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার কেশিয়াড়ি ব্লকের নছিপুর পঞ্চায়েতের ভসরাঘাট এলাকার ঘটনা। ওই পঞ্চায়েত এলাকার জয়কৃষ্ণপুর থেকে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কয়েকজন কর্মী মেদিনীপুরে সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ভসরাঘাটের কাছে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের গোলমাল বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পাঁচ জন বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে। ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কেশিয়াড়ি ব্লক জুড়ে বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি নছিপুর, কুলবনী, কেশিয়াড়ি, লালুয়া-সহ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তৃণমূল কর্মীরাও বিজেপিতে যোগদান করেছে। এ দিন জয়কৃষ্ণপুর থেকে উত্তম মাইতির নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা মেদিনীপুরে রাহুল সিংহের সভায় যোগ দিতে রওনা হয়েছিলেন। কথা ছিল, নয়াগ্রাম থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে আসা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভসরাঘাটের কাছ থেকে একসাথে বাসে উঠবেন তাঁরা। কিন্তু ওই এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নয়াগ্রামের বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে নয়াগ্রামের কর্মীরা ছুটে পালালেও জয়কৃষ্ণপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি শুরু হয়।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা সংখ্যায় বেশি থাকায় বিজেপি নেতা উত্তম ঘোষ, কর্মী উজ্জ্বল ঘোষ, খোকন দোলুই, অভিমন্যু ভুঁইয়া, রঘুনাথ হাঁসদাকে আটকে রাখা হয়। তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বিজেপির কেশিয়াড়ি মণ্ডল সভাপতি উত্তম মাইতি বলেন, “তৃণমূলের ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী আমাদের ছ’জনকে আটকে রেখে বিজেপির সভা বানচালের চেষ্টা করেছিল। ওঁরা দলীয় নেতা-কর্মীদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে কর্মীদের উদ্ধার করেছে।” ওই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের তিন জনকে চিনতে পারায় তাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে বলে উত্তমবাবু জানান। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, “সিপিএম এখন বিজেপির মুখোশ পড়লেও কেশিয়াড়িতে তৃণমূলের শক্তি হ্রাস পাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy