Advertisement
E-Paper

সরলেন সৌমেন, পাঁশকুড়ায় কলেজ সভাপতি শুভেন্দু

কাঁথির বাড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পাঁশকুড়ার বনমালী কলেজের সভাপতি হলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। আর সভাপতি পদের জন্য শুভেন্দুর নাম প্রস্তাবের পরেই কিম আশ্চর্যম! প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন ওই কলেজের বিদায়ী সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, যিনি জেলা-রাজনীতিতে দলে অধিকারীদের বিরোধী শিবিরের মুখ বলেই পরিচিত। শনিবারের এই নির্বাচন ইতিমধ্যেই প্রচুর জল্পনার রসদ দিয়েছে জেলা রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৩০

কাঁথির বাড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পাঁশকুড়ার বনমালী কলেজের সভাপতি হলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। আর সভাপতি পদের জন্য শুভেন্দুর নাম প্রস্তাবের পরেই কিম আশ্চর্যম! প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন ওই কলেজের বিদায়ী সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, যিনি জেলা-রাজনীতিতে দলে অধিকারীদের বিরোধী শিবিরের মুখ বলেই পরিচিত। শনিবারের এই নির্বাচন ইতিমধ্যেই প্রচুর জল্পনার রসদ দিয়েছে জেলা রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের। নেতাদের ভূমিকায় ফিসফাস শুরু হয়েছে তৃণমূলের নিচুতলার একাংশে।

রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেনবাবু দাবি করেছেন, দলের অন্দরে কোন্দল এড়াতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তবে সেই সঙ্গেই জুড়ছেন, “কখনও ভাবিনি উনি (শুভেন্দু) ৮০ কিলোমিটার দূর থেকে পাঁশকুড়া কলেজে এসে সভাপতি পদের জন্য লড়বেন। যখন জানলাম, নাম প্রত্যাহারের কথা জানাই। কারণ, উনি আমার থেকে বড় নেতা। তাই ওঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইনি।”

তৃণমূল অন্দরের খবর, পাঁশকুড়ার কলেজে সভাপতি হিসেবে আসার সিদ্ধান্ত তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু কেন নিলেন তা দলের একাংশের কাছে স্পষ্ট নয়। তাঁদের বক্তব্য, দূরত্ব বাদ দিলেও, পাঁশকুড়া শুভেন্দুর সাংসদ-এলাকার মধ্যে পড়ে না। সেখানে সৌমেন-ই নেতা। তিনি এলাকার বাসিন্দাও। সেই সূত্র টেনে দলের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, কেন শুভেন্দুকে আসতে হচ্ছে পাঁশকুড়ায়?

শুভেন্দুর বক্তব্য, “পাঁশকুড়া কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা আমাকে পরিচালন সমিতির সভাপতি পদের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁদের অনুরোধ ফেলতে পারিনি।” শুভেন্দু-অনুগামীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দু’দিন আগেই নিজের এলাকা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরের মহিষাদল মহিলা কলেজে পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন সৌমেন।

২০১১ থেকে পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন মন্ত্রী। এই পর্বে বারবার নানা বিষয় নিয়ে কলেজে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন সভাপতি নির্বাচনের জন্য পরিচালন সমিতির ১২ জন সদস্য হাজির ছিলেন। সভাপতি পদে শুভেন্দুর নাম প্রস্তাব করেন পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান (পদাধিকার বলে পরিচালন সমিতির সদস্য)। আর সৌমেনবাবুর নাম প্রস্তাব করেন সরকার মনোনীত সদস্য তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমান। সৌমেন ও শুভেন্দু কেউই বৈঠকে ছিলেন না। তাই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কলেজের অধ্যক্ষ নন্দন ভট্টাচার্য দু’জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তখনই নাম প্রত্যাহার করেন মন্ত্রী।

শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি, জাকিউর পরিচালন সমিতির সাত সদস্যকে নিয়ে এ দিন বৈঠকে ঢুকতেই সৌমেন-ঘনিষ্ঠদের কাছে বার্তা চলে যায়, ভোটাভুটি হলে মন্ত্রীর হার নিশ্চিত। সে জন্যই শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান সৌমেন।

panskura banamali college suvendu adhikari tamluk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy