Advertisement
১৯ মে ২০২৪

হস্টেল থেকে পালানোর পথে উদ্ধার সাত ছাত্রী

বিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্‌পরতায় উদ্ধার হল দশম শ্রেণির সাত ছাত্রী। শনিবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার হাঁসচড়া সিন্ধুবালা স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে। পরে উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রীদের তাঁদের অভিভাবকরা ফের হস্টেলেই রেখে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share: Save:

বিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্‌পরতায় উদ্ধার হল দশম শ্রেণির সাত ছাত্রী। শনিবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার হাঁসচড়া সিন্ধুবালা স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে। পরে উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রীদের তাঁদের অভিভাবকরা ফের হস্টেলেই রেখে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম সড়কের ধারে হাঁসচড়া বাজার সংলগ্ন ওই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজারের বেশী ছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকে ৫১ জন। আবাসিক ওই ছাত্রীদের মধ্যে দশম শ্রেণির ছাত্রীর সংখ্যা ২০। আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে ওই স্কুলে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরুর কথা। আবাসিক ছাত্রীদের একাংশ ঠিকমতো পণা না করায় দিন কয়েক আগে হস্টেল সুপার তথা শিক্ষিকা তাদের বকাবকি করে বলে অভিযোগ।

এরপর শুক্রবার রাতে পাশাপাশি দুটি ঘরে থাকা সাত ছাত্রী রাত আড়াইটা নাগাদ হস্টেল ছেড়ে বেরোয়। এরপর ওই ছাত্রীরা স্কুল-ক্যাম্পাসের পাঁচিল টপকে হেঁটে নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়ক ধরে চণ্ডীপুরের দিকে আসছিল। স্কুল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে গভীর রাতে সাধারণ পোশাকের ওই কিশোরীরদের পিঠে স্কুল ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজন বাসিন্দার। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে চার ছাত্রী পালালেও তারা ধরা পড়ে যায়। আর বাকিদের চণ্ডীপুরের মগরাজপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। সকলকে চণ্ডীপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ দিকে আবাসিক ওই ছাত্রীদের পালানোর খবর পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ চণ্ডীপুর থানায় গিয়ে ওই ছাত্রীদের উদ্ধারের ঘটনা জানতে পারে। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীদের অভিভাবকরাও থানায় আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীরা প্রথমে জানায় স্কুলের হস্টেলে তাদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না। পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যেককে ফেরানো হয় হস্টেলে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সুদর্শন বেরা বলেন, “হস্টেলে ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না-এই অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। ওই ছাত্রীরা ঠিক করে পড়শোনা না করায় বকুনি দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই ওই ছাত্রীরা হস্টেল থেকে পালানোর চেষ্টা করে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tamluk 7 students recovered fleeing from hostel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE