চলছে মৎস্যযান বিলি।—নিজস্ব চিত্র।
মৎস্যজীবীদের সাহায্যার্থে বিশেষ মৎস্যযান বিলির বন্দোবস্ত আগেই করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৫ জন মৎস্যজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হল সেই মৎস্যযান। জেলা পরিষদে মৎস্যযান বিলি করেন মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্ট। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী।
মৎস্যযান পেয়ে স্বভাবতই খুশি মৎস্যজীবীরা। ঘাটালের মৎস্যজীবী শচীপদ পালের কথায়, “সাইকেলে মাছ নিয়ে ঘুরেও দিনের শেষে সব মাছ বিক্রি হত না। চরম ক্ষতির মুখে পড়ত হত। এ বার সেই সমস্যা থেকে রেহাই পাবো।” খড়্গপুর-১ ব্লকের মৎস্যজীবী রঞ্জিত দোলুই বলেন, “মৎস্যযান থাকলে অনেক বেশি পরিমাণ মাছ নেওয়া যাবে। পচে যাওয়ার আশঙ্কাও কম।” সভাধিপতি জানিয়েছেন, এই সব সুবিধার কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মৎস্যজীবীদের মৎস্যযান দেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে জেলার প্রতিটি ব্লকের এক জন করে মৎস্যজীবীকে এই মৎস্যযান দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বাড়ানো হবে। মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “গোড়ায় জেলার ২৯টি ব্লকের ২৯ জনকে মৎস্যযান দেওয়া হবে। এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজনকে দেওয়া হল। বাকিদেরও এক মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে।”
কী রয়েছে এই মৎস্যযানে?
ছাউনি দেওয়া রিকশার মতো এই যানে থাকছে মাছ সংরক্ষণের আলাদা পাত্র। তাতে বরফ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ করা যাবে। রয়েছে বাটখারা। সঙ্গে ২ হাজার টাকা নগদও দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের। যাতে প্রথম ধাপে মাছ কিনে একজন ব্যবসা শুরু করতে পারে, সে জন্যই এই অর্থসাহায্য। মৎস্যজীবীরা ভ্রাম্যমাণ এই যান ব্যবহার করছেন না অন্যকে বিক্রি করে দিয়েছেন না নেহাতই ফেলে রেখেছেন, তা দেখতে নজরদারিও চালানো হবে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy