রাতে ঠাকুমার পাশে বারান্দায় শুয়ে ছিল দশ বছরের মেয়েটি। রাত দেড়টা নাগাদ ঘুম ভেঙে ঠাকুমা দেখেন, পাশে কেউ নেই। হুলস্থূল পড়ে যায় বাড়িতে। অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির কাছেই এক মাঠের ধারে পরিত্যক্ত কুঁড়ের মধ্যে মিলল মেয়েটির মৃতদেহ। শরীরের নানা জায়গায় রক্ত লেগে রয়েছে। ধর্ষণের পর শ্বাস রোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
তারাপীঠের রামভদ্রপুর গ্রামের এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকা জুড়ে। পুলিশ কুকুর এনে দোষীদের ধরার দাবিতে দেহ আটকে রাখেন মেয়েটির আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীরা। অবশেষে তারাপীঠ থানার পুলিশ বহরমপুর ‘ডগ স্কোয়াড’ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে আসে। সকাল ৯টা নাগাদ বিক্ষোভ উঠিয়ে নেন গ্রামবাসীরা। এর পরেই রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় তাঁর দেহ। মেয়েটির বাবা মিহির মাল তারাপীঠ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রম সংস্কারে আপস নয়, বার্তা সঙ্ঘকে
মাড়গ্রাম থানার বসোয়া গার্লস স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল মেয়েটি। স্কুলের হস্টেলেই থাকত। গরমের ছুটিতে দিন পনেরো আগে বাড়িতে ফিরেছিল সে। বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুমা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল বাড়ির বারান্দায়। তখনই কে বা কারা তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে সন্দেহ। রাত দেড়টা নাগাদ বিষয়টি নজরে আসে ঠাকুমার। মেয়েটিকে বিছানায় না দেখতে পেয়ে তিনিই সবাইকে ডেকে তোলেন। বাড়ির মধ্যে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি মেয়েটিকে। বাইরে খুঁজতে শুরু করেন সকলে । রাত তিনটে নাগাদ মেয়েটির রক্ত মাখা দেহ দেখতে পান আত্মীয়রা। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু কী ভাবে দুষ্কৃতীরা সবার সামনে দিয়ে বাড়ির থেকে তুলে নিয়ে গেল মেয়েটিকে? উঠছে সেই প্রশ্ন।
রামপুরহাট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক কমল বৈরাগ্য বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, অন্য কোথাও খুন করে মৃতদেহ এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার পরই জানা যাবে। তবে মেয়েটির শরীরে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে।’’
তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy