Advertisement
E-Paper

লাল সতর্কতা জারি উত্তরে, চলছে তল্লাশি

সেনা জওয়ানের পোশাক পড়েই জঙ্গিরা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার হয়ে উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সে জন্য কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোকরাঝাড়ের যেখানে গুলিকাণ্ড হয়েছে সেখান থেকে আলিপুরদুয়ার হয়ে সহজেই ভুটানে চলে যেতে পারে জঙ্গিরা।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৬ ০৩:০৬
হামলার পরে জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগ মেটাল ডিটেক্টারের মাধ্যমে পরীক্ষা করছেন সেনা জওয়ানেরা। ছবি: পিটিআই।

হামলার পরে জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগ মেটাল ডিটেক্টারের মাধ্যমে পরীক্ষা করছেন সেনা জওয়ানেরা। ছবি: পিটিআই।

সেনা জওয়ানের পোশাক পড়েই জঙ্গিরা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার হয়ে উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সে জন্য কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোকরাঝাড়ের যেখানে গুলিকাণ্ড হয়েছে সেখান থেকে আলিপুরদুয়ার হয়ে সহজেই ভুটানে চলে যেতে পারে জঙ্গিরা। তাই সেই রুটে পাহারা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন বিকেলে কলকাতা রওনা হওয়ার আগে অসমের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “উত্তরবঙ্গ জুড়েই নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।”

অসম সীমান্তবর্তী থানা ও চেকপোস্টগুলির আশেপাশে নজরদারিতে থাকা পুলিশ কর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে টহলদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি রাজেশ যাদব বলেন, “ওই ঘটনার পরই সব জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব জানান, লাল সতর্কতা জারির সঙ্গে অসম-বাংলা যাতায়াতের মূল রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সব দিকে নজর রাখছি।”

কোচবিহার বা আলিপুদুয়ার থেকে কোকরাঝাড়ের দূরত্ব বেশি নয়। বিশেষ করে জয়ন্তী পাহাড় বা কুমারগ্রামের জঙ্গল পথে খুব সহজেই অসম সীমান্ত টপকে যাওয়া যায়। সেখান থেকে ভুটানও খুব বেশি দূর নয়। পুলিশ সন্দেহ করছে, ওই পথে পালাতে পারে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ফের যাতে কোনও অঘটন না ঘটে সে জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ধুবুরি সীমান্তে বাস, ট্রাক এমনকি ছোট গাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন, এ ক্ষেত্রে জঙ্গিরা পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর পোশাক পড়তে পারে। সাধারণত সেনা পোশাক থাকলে পুলিশ ছাড় দেয়। সে জন্য বিশেষ ভাবে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের।

কোচবিহার থেকে প্রতিদিন ব্যবসার কাজে কোকরাঝাড় যাতায়াত করেন বহু মানুষ। গাড়িও চলাচল করে। তাই কোচবিহারের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারাও উদ্বিগ্ন। ব্যবসা থেকে শুরু করে যে কোনও ব্যাপারেই কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাঁও এবং ধুবুরির মানুষ কোচবিহারের উপরে নির্ভরশীল। ব্যবসায়ী রাজেন বৈদ বলেন, “নমনি অসমে এই ধরনের ঘটনা আমাদের জেলাকে বড় লোকসানের মধ্যে ফেলে দেবে।”

Miscreants attack Red alert
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy