ফাইল চিত্র।
দলের প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সিপিএমের গঠনতন্ত্রের ১৯(১৩) ধারায় তাঁকে পত্রপাঠ বহিষ্কার করা হল। শুধু মইনুলই নন, এ বারের রাজ্য কমিটির বৈঠকে নানা অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় ২২ জনকে বহিষ্কার ও এক জনকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কয়েক দিন আগে মইনুল প্রকাশ্যেই দল ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন। সিপিএমে দলিত ও সংখ্যালঘুদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর। যদিও গত প্রায় তিন বছর ধরে দলীয় একটি কমিশন মইনুলের বিরুদ্ধে জমি কেনা-বেচায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছিল। সেই কমিশনের রিপোর্ট সামনে রেখে এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে অবশ্য বেশ কয়েক জন প্রশ্ন তুলেছেন, কমিশন গড়েও কেন এত দিন একটা বিষয় ঝুলিয়ে রাখা হল? দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের ব্যাখ্যা, নানা নথিপত্র খতিয়ে দেখা এবং মইনুলের জবাব যাচাই করতে সময় লেগেছে।
বহরমপুরে গিয়ে সূর্যবাবু মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির কাছে মইনুলের বিষয়ে একটি রিপোর্ট চেয়েছিলেন। তার পরের দিনই মইনুল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা করেন বলে সিপিএম নেতৃত্বের ব্যাখ্যা। রাজ্য কমিটির বৈঠকের পরে সূর্যবাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘আগে যা বলতেন, এখন তার উল্টো বলছেন। তিনি নিজে তা হলে প্রায় ২৫ বছর রাজ্য কমিটিতে থাকলেন কী ভাবে? দায়িত্ব নিয়ে কত জন সংখ্যালঘুকে নিয়ে আসতে পেরেছেন?’’ বহিষ্কারকে ‘গুরুত্ব’ দিতে না চাইলেও মইনুলের বক্তব্য, ‘‘কার অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হল, সেই পরিচয় প্রকাশ্যে আনুক সিপিএম। আমার যা সম্পত্তি আছে, তার জন্য আইন মেনে নথিপত্র আছে। আমার প্যান নিয়ে সরকারি দফতরে যে কেউ খোঁজ নিতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy