Advertisement
E-Paper

এটিএম কাণ্ডে টাকা ফেরতের আশ্বাস

লালবাজারের খবর, এটিএম-কাণ্ডে সাইবার ক্রাইম বিভাগের প্রধান সন্তোষ পাণ্ডের নেতৃত্বে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গড়া হয়েছে। টাকা ফেরতের আশায় এ দিনও ব্যাঙ্ক, থানা, লালবাজার দৌড়ে বে়ড়িয়েছেন গ্রাহকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কী ভাবে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে হাজার হাজার টাকা লোপাট হয়ে গেল, সেই রহস্যের কিনারা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সব ব্যাঙ্কই ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানাল কলকাতা পুলিশ। গোয়েন্দা-প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বুধবার বলেন, ‘‘এ দিন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সব গ্রাহকের খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’’

লালবাজারের খবর, এটিএম-কাণ্ডে সাইবার ক্রাইম বিভাগের প্রধান সন্তোষ পাণ্ডের নেতৃত্বে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গড়া হয়েছে। টাকা ফেরতের আশায় এ দিনও ব্যাঙ্ক, থানা, লালবাজার দৌড়ে বে়ড়িয়েছেন গ্রাহকেরা। গোয়েন্দা-প্রধান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, সাইবার অপরাধ দমন বিভাগ অথবা স্থানীয় থানায় ডায়েরি করতে হবে। সেই ডায়েরির প্রতিলিপি নিয়ে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে। গড়িয়াহাট, পার্ক স্ট্রিট ও ভবানীপুরের ৭৬ জন গ্রাহকের ১৮-২০ লক্ষ টাকা লোপাট হয়েছে। উধাও হয়েছে মূলত কানাড়া ব্যাঙ্ক ও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের টাকা। কোটাক মহীন্দ্রা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কিছু গ্রাহকও অভিযোগ করেছেন।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, যাঁরা গোল পার্কের কানাড়া ব্যাঙ্কের এটিএম এবং মল্লিকবাজারের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করছেন, তাঁদেরই কয়েক জনের টাকা লোপাট হয়েছে। ওই দুই এটিএমের গ্রাহকদের এটিএম কার্ড স্কিমিং মেশিনের সাহায্যে ক্লোন করেছে দুষ্কৃতীরা। গ্রাহকেরা এটিএম মেশিনে যেখানে কার্ড ঢোকান, সেখানে এবং এটিএম মেশিনের কি-বোর্ডে স্কিমিং মেশিন লাগিয়ে রেখেছিল হ্যাকারেরা। গ্রাহক মেশিনে ডেবিট কার্ড ঢোকালে এবং কি-বোর্ডে পিন নম্বর টাইপ করলেই তাঁর কার্ডের সবিস্তার তথ্য ওই স্কিমিং মেশিনে ক্লোন হয়ে যায়। তার পরে ক্লোন-কার্ডের সাহায্যে দিল্লির হজ খাস, কনট প্লেস ও মুনিরকা এলাকার এটিএম থেকে টাকা লুট করেছে দুষ্কৃতীরা। ২৪ জুলাই থেকে সাত দিন ধরে টাকা হাতানোর ‘অপারেশন’ চালিয়েছে তারা।

গোয়েন্দারা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দুষ্কৃতীরা সেখানকার যে-সব এটিএম ব্যবহার করেছে, সেগুলোর সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা করছে পুলিশ।

ATM Fraud Refund
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy