প্রতীকী ছবি।
হিন্দু পরিবারের এক বৃদ্ধার শেষযাত্রায় সামিল হলেন সংখ্যালঘুরাও। ঘটনাস্থল বাদুড়িয়া, বছরখানেক আগেই যেখানে ঘটে গিয়েছে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বড়সড় ঘটনা।
বেশ কিছু দিন রোগভোগের পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই মারা যান বছর সত্তরের সাবিত্রী শীল। বছর দু’য়েক আগে স্বামী মারা গিয়েছেন। বাদুড়িয়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পান্তাপাড়ায় থাকতেন সাবিত্রী ও তাঁর ছেলে মন্মথ। সেখানে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের বসবাস। গত বছর জুলাই মাসে বাদুড়িয়া-বসিরহাটের নানা প্রান্ত যখন হিংসার আগুনে জ্বলছে, তখন বাদুড়িয়ার এই এলাকাকে অবশ্য হিংসা স্পর্শ করতে পারেনি।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, সাবিত্রীর মৃত্যুর পরে গ্রামের সব সম্প্রদায়ের মানুষ শেষকৃত্যে সামিল হন। স্থানীয় বাসিন্দা মিঞারাজ মণ্ডল, হিরণ আহমেদ, বাপ্পা মণ্ডলরা শবদেহ বহনে কাঁধ লাগিয়েছিলেন।
বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহ বলেন, ‘‘বাদুড়িয়া সম্প্রীতি বজায় রাখায় অগ্রগণ্য।’’ একই বক্তব্য বিধায়ক আব্দুর রহিম দিলুর। আবদুর রহমানের কথায়, ‘‘আমরা সকলে সকলের পাশে থাকি। বিভেদের আঁচ কখনও কারও গায়ে লাগেনি।’’
পড়শিদের এ ভাবে পাশে পেয়ে অভিভূত মন্মথ। বললেন, ‘‘রমজান মাসে রোজা রেখেও যে ভাবে ওঁরা পাশে থাকলেন, তা কখনও ভুলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy