জঙ্গলে বাঘের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের আগে মাপজোক করে দেখছেন বনকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনে একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। কী ভাবে বাঘটির মৃত্যু হল, তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্যও। আদলমারির জঙ্গলে উদ্ধার হয় বাঘটির পচাগলা দেহ। বন কর্তাদের অনুমান, বাঘটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তবে চোরা শিকারের সম্ভাবনা নেই বলেও প্রাথমিত তদন্তে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। কী ভাবে বাঘটির মৃত্যু হল, জানতে দেহাংশের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন এক বনাধিকারিক।
বন দফতর সূত্রে খবর, আদলমারির জঙ্গলে রুটিন তল্লাশির সময় বাঘটির দেহ নজরে আসে। কিন্তু সেই দেহটি ছিল পচাগলা। দেহাংশের কাছে একটি হরিণ ধরার ফাঁদ মেলে। যা থেকে বনকর্তাদের অনুমান, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বাঘটির। তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। ২০০৮ সালের অক্টোবরে সুন্দরবনে শেষ বাঘ চোরাশিকারের প্রমাণ মিলেছিল। তার পর এই প্রথম সেখানে বাঘের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বলে দাবি করছেন বনকর্তারা।
তবে একে চোরাশিকারের ঘটনা বলে মানতে নারাজ বন দফতর। দফতরের কর্তাদের যুক্তি, বাঘের কোনও দেহাংশ খোয়া যায়নি। চামড়া, দাঁত সবই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। ফলে বাঘটিকে অর্থনৈতিক কারণে মেরে ফেলার তত্ত্ব এখনই স্পষ্ট করে বলা যায় না।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে দন্তেওয়াড়ায় বিজেপি বিধায়কের কনভয়ে মাও হানা, বিধায়ক-সহ নিহত অন্তত ৫
আরও পডু়ন: ভোটের দু’দিন আগে কোচবিহারের এসপি বদল, নিরপেক্ষ নির্বাচন কী ভাবে? প্রশ্ন পার্থর
বন দফতরের দাবি, বিশ্বে ব্যাঘ্র সংরক্ষণে উদাহরণ হয়ে উঠেছিল সুন্দরবন। বিস্তীর্ণ এই দুর্গম এলাকায় বিশাল মাংসাশী প্রাণীরা যেভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে সংখ্যায় বাড়ছিল তা দেখে অবাক পশ্চিমি বিশ্বও। কিন্তু সেখানেই বাঘের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন বনকর্তারা। তবে সুন্দরবনে ব্যাঘ্র সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy